প্রিন্ট এর তারিখঃ মে ৫, ২০২৪, ১:২৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ২১, ২০২২, ৭:১৫ পি.এম
আটঘরিয়ায় ওয়াসিম আলীর ৩ লাখ টাকার তরমুজ খেতেই পচে যাচ্ছে
তীব্র তাপদাহ ও রমজান মাসে চাহিদা বাড়ায় বেশ ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে রসালো ফল তরমুজ। আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের শ্রীকান্তপুর গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে তরমুজ চাষি ওয়াসিম আলী। উপজেলার একমাত্র তরমুজ চাষি তিনি। তবে ৩লাখ টাকার তরমুজ খেতেই পচে যাচ্ছে।
দেড় থেকে দুই বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন তিনি। ভাইরাস সংক্রমণের ফলে খেতেই তরমুজ গাছের পাতা হলুদ ও সবুজের মিশ্র রঙ ধারণ করে গাছ ও ফল মরে যাচ্ছে। তরমুজ পরিপক্ক হওয়ার আগেই এমন বিপর্যয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তরমুজ চাষি ওয়াসিম।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মোড়ক রোগে জমিতেই পঁচে ঝলছে গেছে চাষি ওয়াসিম আলীর দেড় থেকে দুই বিঘা জমির তরমুজের গাছ। মরা গাছের সাথে অপরিপক্ক তরমুজও পঁচে আছে সারি সারি। প্রায় পৌঁনে দুই বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করে ছিলেন তিনি। একটা টাকারও তরমুজ বিক্রি করতে পারেন নি চাষি ওয়াসিম।
ক্ষতিগ্রস্থ্য তরমুজ চাষি ওয়াসিম জানান, আমি দেড় থেকে দুই বিঘা জমিতে এ বছর মোড়-১৯ জাতের তরমুজ লাগিয়েছি। এতে খরচ হয়েছিল প্রায় ১লাখ ৫০ হাজার টাকা। তিনি লাখ তিনেক টাকা লাভের আশা করেছিলেন। প্রথম দিকে জমিতে তরমুজের গাছও হয়ে ছিল ভাল। কিন্তু ফল আসতে ছিল না। গাছের বয়স বাড়ার সাথে সাথে তরমুজের ফল আসতে শুরু করল। তরমুজও পরিপক্ক হতে লাগলো।
তিনি আরও বলেন, হঠাৎ করেই ভাইরাসের আক্রমণ শুরু হয়। কয়েক দিনের মাথায় ক্ষেতে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। তাতে খেতের সব তরমুজে পঁচন ধরে জমিতে ঝলছে পড়ছে। এখন যে অবস্থা, তাতে এক টাকার ফসলও ঘরে যায়নি। ফলও আসলো কিন্তু টেকানো গেলো না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজীব আল মারুফ জানান, উপজেলায় তরমুজ চাষ একদমই নতুন। বছরে হাতে গোনা কৃষকও তরমুজ চাষ করে না। আবার কোনো মৌসুমে দুই একজন চাষি শখের বসে পরীক্ষামূলক তরমজু চাষ করে। এ উপজেলা বছরে অল্প সংখ্যক তরমুজ চাষ হওয়ায় তেমনটা লাভবান হতে পারে না চাষিরা। এ জন্য তরমুজ চাষে চাষিদের তেমনটা আগ্রহ নেই। ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রচুর পরিমাণ তরমুজ এসে চাহিদা পূরুণ করে আক্রান্ত তরমুজের খেতে সঠিক নিয়মে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। সঠিক পদ্ধতি জানা না থাকলে দ্রæত ভাইরাস এ আক্রমণ করে।
সম্পাদক | মোঃ আক্তারুজ্জামান মনির | নির্বাহী পরিচালক | মোছাঃ উম্মে কুলছুম আক্তার | সাধারন সম্পাদক | মোঃ জহুরুল ইসলাম | প্রধান উপদেষ্ঠা | মোঃ শাফিরুল ইসলাম | মোঃ আব্দুর রহমান | হেল্পলাইন | ০৯৬৩৮৯০০৯৯৯ | ০১৭৩৫২৫০০৮২ | ০১৭১১০১০৮৯৬ | ০১৭১৯৬৬৯৩৩৬ | ই-মেইল | ichamotinews@gmail.com |
প্রিন্টিং কার্যালয় | মিতালী প্রেস ,শাপলা সুপার মার্কেট ,বগুড়া-বাংলাদেশ।
Copyright © 2024 ইছামতী নিউজ. All rights reserved.