বগুড়ায় বিভিন্ন বাজারে কয়েকদফা দাম বেড়ে প্রতিহালি মুরগির ডিম যখন ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ঠিক তখনই ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে বগুড়া সার্কিট হাউজের সামনে কাজী ফার্মসের ব্যানারে প্রতি পিচ ডিম বিক্রি করছে মাত্র ৯ টাকা অর্থাৎ ৩৬ টাকা হালি। বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই খাদ্যদ্রব্যটি এখন প্রায় ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।এরপরও ব্যবসায়ীরা বলছেন ডিমের দাম বাড়লেও লাভ নেই তাদের।
মঙ্গলবার (৪ই এপ্রিল) বগুড়া শহরের ৩ নম্বর রেল ক্রসিং এলাকার ডিম ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার বাজারে লেয়ার লাল মুরগির ১০০ ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১২০ টাকা দরে। এই ডিম হালিতে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। এই বাজারে লেয়ার মুরগির পাশাপাশি সাদা কক মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪২ টাকা হালিতে। এই মুরগির ডিমের ক্রেতা কম।
অপরদিকে শহরের মুদি দোকানগুলোতে লেয়ার মুরগির ডিম হালিতে বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। আর এক ডজন লেয়ার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা করে। ৫৫ বছর বয়সী মোজাম্মেল এসেছেন বাড়ির বাজার করতে। তিনি জানান, পুষ্টিগুণ বিবেচনায় বাড়িতে প্রতিদিনের খাবারে ডিম থাকে। আজকে এখানে এসে শুনি ডিমের হালি ৩৬ টাকা। বাজারের তুলনায় একটু সাশ্রয় হবে এ জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছি।
ডিম ব্যবসায়ী আবু বকর বলেন, ডিমের সরবারহ স্বাভাবিক আছে। তারপরও কেন দাম বেড়েছে জানিনা। আমাদের যেমন দামে কিনতে হচ্ছে তেমন দামেই বিক্রি করছি। মোঃ রানা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। অফিসের জন্য ডিম কিনতে এসেছেন তিনি। আজ সমাচারকে রানা বলেন, অফিস থেকে ডিম কেনার যা টাকা দিয়েছিল তা থেকে কিছু টাকা বেঁচে গিয়াছে।
শহরের ৩ নম্বর রেল ক্রসিং এলাকার পাইকারি ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ। তিনি জানান, ডিম বিক্রি করে আমাদেরও লাভ হচ্ছেনা। প্রতি ১০০ পিস ডিমে আমরা লাভ করছি ১২ টাকা করে। আমাদের কোম্পানি থেকে বাড়তি দামে ডিম কিনতে হচ্ছে।
ব্যবসায়ী আবু বকর জানান পুরো রমজান মাস জুড়ে এ ডিম বিক্রি করা হবে।প্রতিদিন দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৫ পর্যন্ত এ ডিম পাওয়া যাবে।
Leave a Reply