বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার সাজাপুরে ৫ লাখ টাকাসহ ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, মুল্যবান কাপড়, ব্যবহৃত তৈজষপত্রসহ ১৮ লক্ষ টাকা মূল্যমানের সম্পদ নিয়ে উধাও হয়েছে শারমিন বেগম (২৮) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী। তিনি শেরপুর উপজেলার শালপা বাজার গ্রামের ছামসুল হকের মেয়ে। তিনি দুই সন্তানের জননী।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (৯ মে) বগুড়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শাজাহানপুর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন ওই নারীর স্বামী শাহীন আলমের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম। আসামী করা হয় শারমিন বেগমসহ তার বাবা ছামসুল হক ও তার মা শাহিনুর বেগমকেও। জানান মামলার বাদী সাইফুল ইসলাম, তিনি বলেন এদের যোগসাজসে শারমিন বেগম এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ এক যুগ আগে মুসলিম শরীয়তের বিধান মতে শাজাহানপুর উপজেলার সাজাপুর গ্রামের মৃত নূর হোসেনের ছেলে সৌদি প্রবাসী শাহীন আলমের সঙ্গে বিয়ে হয় শেরপুর উপজেলার শালপা বাজারের ছামসুল হকের মেয়ে শারমিন বেগমের। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে জন্ম নেয় দুইটি কন্যাসন্তান। এদের নিয়েই সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করে আসছিল তারা। জীবিকার তাগিদে বিয়ের কয়েক বছর পর সৌদি আরবে যান শাহীন আলম। বিদেশে যাবার পর হতে তার স্ত্রী সন্তানদের দেখাশুনার দায়িত্ব নেন মামলার বাদী বড় ভাই সাইফুল ইসলাম।
শারমিন বেগমের একাউন্টে তার স্বামী নিয়মিত টাকা পাঠায়। প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস যাবৎ শারমিনের ঘরে অজ্ঞাতনামা দুইজন যুবক মোটরসাইকেল নিয়ে মাঝে-মধ্যে বেড়াতে আসতো। শাহীন আলমের স্ত্রী তাদেরকে আত্মীয়ের পরিচয় দিত। গত ২৩ এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখে শারমিনের বাবা ছামসুল হক (৫৫) ও মা শাহিনুর বেগম (৫০) এর সহায়তায় নগদ অর্থসহ ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, কাপড় ও তৈজষপত্রসহ ১৮ লক্ষ টাকা মূল্যমানের সম্পদ নিয়ে চলে যায়।
এদিকে প্রবাসী শাহীন আলমের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার শাহীন আলমের স্ত্রী শারমিন বেগম, বাবা ছামসুল হক ও মা শাহিনুর বেগমকে আসামী করে জেলা বগুড়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, শাজাহানপুর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন।
সম্পাদক | মোঃ আক্তারুজ্জামান মনির | নির্বাহী পরিচালক | মোছাঃ উম্মে কুলছুম আক্তার | সাধারন সম্পাদক | মোঃ জহুরুল ইসলাম | প্রধান উপদেষ্ঠা | মোঃ শাফিরুল ইসলাম | মোঃ আব্দুর রহমান | হেল্পলাইন | ০৯৬৩৮৯০০৯৯৯ | ০১৭৩৫২৫০০৮২ | ০১৭১১০১০৮৯৬ | ০১৭১৯৬৬৯৩৩৬ | ই-মেইল | ichamotinews@gmail.com |
প্রিন্টিং কার্যালয় | মিতালী প্রেস ,শাপলা সুপার মার্কেট ,বগুড়া-বাংলাদেশ।