বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের রাইস ফার্মিং সিস্টেম বিভাগের উদ্যোগে আটঘরিয়ায় ব্রি উদ্ভাবিত নতুন জাতের ধান ব্রি ধান ৮৯, ও ৯২ এবং বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ এর ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩রা মে) সকালের প্রতিবেদনে জানা যায় যে, এই তিন জাতের নতুন ধান চাষ করে কৃষকরা ভালো ফলন পেয়েছে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা। ৩৩ শতকে এইসব ধানের ফলন হয়েছেন প্রায় ২৭ মণ। অর্থাৎ শতকে প্রায় ৩৩ কেজি ধান পাওয়া গেছে। হেক্টর প্রতি ৮ মন।
মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপপরিচালক নুর এ আলম, উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সজীব আল মারুফ, উপসহকারী কৃষি অফিসার জাহিদুল হক প্রমুখ।
আটঘরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সজীব আল মারুফ বলেন, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত নতুন জাতের ব্রি ধান ৯২ তুলনা মুলক অনেক বেশি ফলন। এগুলো যদি ভালো পরিচর্যা করা যায় তাহলে আরো বেশি ফলন পাওয়া সম্ভব। সুতরাং এখন পুরনো জাতগুলো বাদ দিয়ে নতুন জাতের ধান ব্রি ধান ৮৯, ব্রি ধান ৯২ এবং বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ চাষ করতে কৃষক শুরু করেছে।
কৃষক আব্দুল খালেক, দুলাল মৃর্ধা, শ্রী বিপ্লব কুমার সেন ও আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আগে তেমন কৃষি কাজ করতাম না। কৃষি কাজ অলাভজনক ভাবতাম। কিন্তু ব্রি ধান ৮৯ ও ব্রি ধান ৯২ এবং বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ আমাদের ধারণা বদলে দিয়েছে।
আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই নতুন জাতের ব্রি ধান ৯২ আবাদ করবো। নতুন জাতের ধান চাষ করবো। কেননা কৃষি এখন আগের তুলনায় বেশি লাভজনক।
Leave a Reply