টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশেই শায়িত হলেন খ্যাতিমান পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। স্ত্রী ও তার (সোহানুর রহমান) ইচ্ছে ছিল মৃত্যুর পর তাদের দুইজনকে যেন পাশাপাশি দাফন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় টাঙ্গাইল পুরাতন বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদে জানাজা শেষে সেই ইচ্ছে পূরণে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হয়েছে।
তার জানাজার নামাজে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক রিয়াজুল রিজু, চলচ্চিত্র লেখক আবু সাঈদ চৌধুরী, শ্যালক শাহী, আত্মীয় স্বজনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ব্রেইন স্ট্রোকে মারা যান তার স্ত্রী প্রিয়া রহমান। পরদিন বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন খ্যাতিমান পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুইজনের মৃত্যুতে শোকে পাথর হয়ে আছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় এ সফল নির্মাতা ক্যারিয়ার শুরু করেন নির্মাতা শিবলী সাদিকের সহকারী পরিচালক হিসেবে। সেটা ১৯৭৭ সালের কথা। এরপর তিনি শহীদুল হক খানের ‘কলমিলতা’ (১৯৮১), এজে মিন্টুর ‘অশান্তি’ (১৯৮৬) ও শিবলি সাদিকের ‘ভেজা চোখ’ (১৯৮৮) সিনেমাগুলোতে সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন।
সোহানুর রহমান সোহান প্রধান নির্মাতা হিসেবে ১৯৮৮ সালে আত্মপ্রকাশ করেন। তার পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘বিশ্বাস অবিশ্বাস’। তবে তিনি সাফল্য পান ১৯৯৩ সালে। সিনেমার নাম ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’। এই সিনেমার মাধ্যমে সিনেমায় আত্মপ্রকাশ করেন এবং তারকা খ্যাতি পান প্রয়াত নায়ক সালমান শাহ, নায়িকা মৌসুমী ও কণ্ঠশিল্পী আগুন। এরপর থেকে তুমুল ব্যস্ত হয়ে পড়েন এ নির্মাতা।
সোহানুর রহমান সোহান নির্মিত অন্যান্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে- ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’, ‘আমার দেশ আমার প্রেম’, ‘স্বজন’, ‘অনন্ত ভালোবাসা’, ‘স্বামী ছিনতাই’, ‘আমার জান আমার প্রাণ’, ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘কোটি টাকার প্রেম’, ‘সে আমার মন কেড়েছে’, ‘দ্য স্পিড’ ও ‘লোভে পাপ পাপে মৃত্যু’ ইত্যাদি।
Leave a Reply