প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আইনের শাসন পাওয়া জনগণের অধিকার। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে গেলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে বগুড়া জেলা আদালত চত্বরে বিচার প্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দূর-দূরান্ত থেকে আগত বিচারপ্রার্থীদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একটি অনন্য ও দৃষ্টান্তস্থাপনকারী উদ্যোগ ন্যায়কুঞ্জ নির্মাণ। সারাদেশের ৬৪টি জেলায় এই ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারই একটি অংশ বগুড়ার এই ন্যায়কুঞ্জ। বগুড়ায় বিচারপ্রার্থী মানুষের সংখ্যা অনেক। এজন্য এক হাজার বর্গফুটের ন্যায়কুঞ্জে বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য ব্যবস্থা রয়েছে। এরমধ্যে দুটি শৌচাগার, একটি স্টোর, একটি দুগ্ধদান কেন্দ্র। বিচারপ্রার্থীরা যেন আরামে বসতে পারেন সে কারণেই এই ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম মোজ্জামেল হক চৌধুরী, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের সদস্য (জেলা জজ) শরনিম আকতার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) আশিকুল খবির, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীসহ বিভিন্ন আদালতের বিচারকরা, বগুড়া সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শফিউল আজম, বগুড়া গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এইচ এম শাহরিয়ার তুহিন, বগুড়া বার সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান খান মুক্তা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহুরুল হক জাফর প্রমুখ।
উদ্বোধন শেষে বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সভাকক্ষে জেলার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন প্রধান বিচারপতি।
Leave a Reply