বগুড়ার আদমদীঘিতে দূর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কায়সার আলী (৬৪) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে পুলিশ ওই গ্রামের মসজিদ গেট থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত কায়সার আলী উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউপির অন্তাহার গ্রামের মৃত গরীবুল্লাহর ছেলে। পুলিশ ও নিহতের পারিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত বৃদ্ধ কায়সার ওই গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে দিন মজুরের কাজ করতেন। বুধবার রাত ১২টায় বিদ্যুৎ চলে গেলে কায়সার বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আম কুড়িয়ে নিয়ে তার ছেলের বউকে রাজুফা বেগমকে ডাক দেন। পরে রাজুফা তার শ্বশুরকে আমগুলো নিজের কাছে রাখতে বলে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর কায়সার আম কুড়াতে আবারও বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। গভীর রাতে দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কায়সারের মাথায় ক্ষত হয়ে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
অন্তাহার দক্ষিনপাড়া জামে মসজিদের ঈমাম আব্দুস সামাদ জানান, মোয়াজ্জিন ছুটিতে থাকায় তিনি ফজরের আজান দেওয়ার জন্য মসজিদে যান। এসময় মসজিদের দক্ষিণ পাশের গেটের সামনে তিনি কায়সারের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তিনি নামাজে আসা মুসল্লীদের বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে আদমদীঘি সার্কেলের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ওমর আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ।
ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ও অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আশিকুজ্জামান ছোটন বলেন, আমাদের জানা মতে গ্রামে তার কোনো শত্রু নেই। ধারণা করছি, রাতে কোনো দুষ্কৃতিকারির অপকর্ম দেখে ফেলায় ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য দাবি জানান তারা।
আদমদীঘি থানার পরদির্শক (তদন্ত) ময়েন উদ্দীন জানান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করায় তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কি ধরনের অস্ত্র দিয়ে এবং কারা, কিভাবে তাকে হত্যা করেছে সেটির তদন্ত চলছে। পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply