1. Aktarbd2@ichamotinews.com : ichamotinews : ichamotinews
  2. zakirhosan68@gmail.com : zakir hosan : zakir hosan
ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, এবার কী করবেন-শেখ হাসিনা - ইছামতী নিউজ
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৪ অপরাহ্ন
আপডেট নিউজ :
মহাস্থান কলেজের সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা বগুড়ায় ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে দুই স্কুলছাত্রের মৃত্যু সকল মামলা প্রত্যাহার করে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে- বাদশা আইনকে তোয়াক্কা না করে সকল অনিয়মের সাথে জড়িত মহিলা মেম্বার জাহানারা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে হামলা ও হত্যা চেষ্টা মামলায় জয়পুরহাট কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াজেদ আলী আটক সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গ্রেফতার ৪২ বছরে গ্রামীণ ব্যাংকের পদার্পণ অবৈধ পথে ভারতে পালিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বগুড়ায় সুশাসনের জন্য নাগরিক(সুজন)কতৃক   শারদীয় উৎসব  দুর্গাপূজা উপলক্ষে ডিসি এসপির সঙ্গে মতবিনিময় বগুড়ার কলোনীতে চুন্নু চাপ এন্ড কাবাব ঘরে অগ্নিকান্ড

ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, এবার কী করবেন-শেখ হাসিনা

রাশেদ | বগুড়া প্রতিনিধি
  • Update Time : Friday, 20 September, 2024
  • ৫৫ Time View

ছাত্র-জনতার নজিরবিহীন গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বৈধভাবে ভারতে থাকতে পারবেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে, এখন কী করবেন হাসিনা? এদিকে, বিষয়টি নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি ভারত। জানা গেছে, কূটনৈতিক পাসপোর্টে শেখ হাসিনার ভারতে ৪৫ দিন থাকতে পারার মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর)। ফলে এখন রাজনৈতিক এবং বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, শুক্রবার থেকে শেখ হাসিনা কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন।

একাধিক মহল মনে করছে, তিব্বতি ধর্মগুরু দালাই লামার মতোই ‌‘সাময়িকভাবে’ রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হতে পারে শেখ হাসিনাকে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে ভারতের সিদ্ধান্তের ওপর।

সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, কূটনৈতিক পাসপোর্টে শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হলেও, তাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা নেই।

এখন এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে শেখ হাসিনাকে হস্তান্তরের জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ জানায়, তখন নয়াদিল্লির আইনি উপায় কী হবে? এ নিয়ে ভারতীয় ইংরেজি দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসে দীর্ঘ এক নিবন্ধ লিখেছেন ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির জিন্দাল গ্লোবাল ল স্কুলের অধ্যাপক প্রভাষ রঞ্জন।

নিবন্ধে তিনি বলেছেন, ভারতের প্রত্যর্পণ আইন- ১৯৬২ ছাড়াও শেখ হাসিনার সরকারের সাথে ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তিও বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ১৯৬২ সালের প্রত্যর্পণ আইনের ১২ (২) ধারা ও ভারত-বাংলাদেশের প্রত্যর্পণ চুক্তির শর্তগুলোও শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে।

শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য বাংলাদেশ ২০১৩ সালের চুক্তির ওপর নির্ভর করতে পারে। চুক্তির ১ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারত তাদের ভূখণ্ডে কেবল সেই ব্যক্তিদের প্রত্যর্পণ করতে বাধ্য, যারা প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তবে এই অনুচ্ছেদ সেই ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে, যাদের বিরুদ্ধে অপরাধের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

২০১৩ সালের চুক্তি ভারত ও বাংলাদেশি আইনের আওতায় কমপক্ষে এক বছরের কারাদণ্ডের মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধকে প্রত্যর্পণযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।

বাংলাদেশের আদালতে এখনো দোষী প্রমাণিত না হলেও, হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করা যেতে পারে। ভারত থেকে প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য তাকে এসব অপরাধে অভিযুক্ত করাই যথেষ্ট। এছাড়া ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তির অনুচ্ছেদ ১০(৩)-এর আওতায় প্রত্যর্পণ চাওয়ার জন্য অনুরোধকারী রাষ্ট্রের পক্ষে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও যথেষ্ট।

এক্ষেত্রে অনুরোধ জানানো রাষ্ট্রের কাছে সংঘটিত অপরাধের প্রমাণ দেওয়ার কোনো দরকার নেই। ২০১৬ সালে চুক্তিতে আনা একটি সংশোধনীর কারণে এই প্রয়োজনীয়তা বাদ পড়েছে। ফলে বাংলাদেশ এ ধরনের অনুরোধ করলে শেখ হাসিনাকে হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে আইনি বাধ্যবাধকতায় পড়বে ভারত। তবে ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তিতে কোনো ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম বিধানও রয়েছে।

প্রথমত, ৬ নম্বর অনুচ্ছেদে অপরাধী ব্যক্তি যদি রাজনৈতিক নেতা হন, তাহলে তার প্রত্যর্পণ প্রত্যাখ্যান করা যেতে পারে। আবার ১৯৬২ সালের প্রত্যর্পণ আইনের ৩১(১) ধারায় রাজনৈতিক ছাড়ের বিধান রয়েছে। তাহলে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য ভারত কি এসব বিধানের ওপর নির্ভর করতে পারে? এর জবাব হলো, না। কারণ চুক্তির ৬ (২) ধারায় বিশেষভাবে হত্যা ও অন্যান্য অপরাধের মতো অপরাধকে বাদ দেওয়া হলেও আন্তর্জাতিক আইন গণহত্যা এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধকে রাজনৈতিক অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

দ্বিতীয়ত, যদি সেই ব্যক্তির প্রত্যর্পণ অপরাধের দায়ে আদালতে বিচার করা হয়, তাহলে অনুরোধকৃত রাষ্ট্রকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করার অনুমতি দিয়েছে অনুচ্ছেদ ৭। এই বিধানটি হাসিনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। কারণ তিনি ভারতীয় আদালতে বিচারের মুখোমুখি হবেন, এমন কোনো অপরাধের অভিযোগ নেই।

তৃতীয়ত, চুক্তির অনুচ্ছেদ ৮ (১) (এ) (আইআইআই) ধারায় বলা হয়েছে, যদি একজন ব্যক্তি প্রত্যপর্ণের জন্য অনুরোধকৃত রাষ্ট্রকে বোঝাতে পারেন যে, তাকে হস্তান্তর করা হলে দেশে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন না এবং তাকে প্রত্যর্পণ করাটা নিপীড়নমূলক হবে, তাহলে অনুরোধকৃত রাষ্ট্র সমস্ত পরিস্থিতি বিবেচনা করে তাকে প্রত্যর্পণ করা থেকে বিরত থাকতে পারে। কারণ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ ‘‘ন্যায়বিচারের স্বার্থে সরল বিশ্বাসে’’ করা হয়নি বলে জানাতে পারবে অনুরোধকৃত রাষ্ট্র।

একই নীতি ১৯৬২ সালের প্রত্যর্পণ আইনের ২৯ ধারায় প্রতিফলিত হয়েছে। শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে এই বিধান প্রযোজ্য হতে পারে। যে পরিস্থিতিতে তিনি ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়েছেন এবং তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা বাংলাদেশে বিভিন্ন বিষয় পরিচালনা করছেন, তাতে যুক্তি দেওয়া যেতে পারে যে, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রতিহিংসা ও রাজনৈতিক শত্রুতার দ্বারা প্রভাবিত। যদি তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়, তাহলে তার সুষ্ঠু বিচার না পাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। সুতরাং তার প্রত্যর্পণ হবে নিপীড়নমূলক এবং অন্যায্য।

এই ব্যাখ্যা বাংলাদেশের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। যারা দাবি করবে, শেখ হাসিনাকে তার স্বৈরাচারী শাসনের জন্য জবাবদিহি করা হবে ন্যায়বিচারের স্বার্থেই। কোনো বিরোধ নিষ্পত্তিকারী সংস্থা কার ব্যাখ্যা সঠিক তা নির্ধারণ না করা পর্যন্ত ৮ (১) (এ)(আইআইআই) ধারা অনুযায়ী, উভয়পক্ষই নিজেদের আইনি ব্যাখ্যায় অটল থাকতে পারে।

তবে ভারতের সামনে আরেকটি আইনি বিকল্প আছে। তবে সেটি হবে কঠিন। চুক্তির ২১ (৩) ধারায় ভারতকে যেকোনো সময় নোটিশ দিয়ে এই চুক্তি বাতিল করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে নোটিশ প্রকাশের তারিখ থেকে পরবর্তী ছয় মাস পর চুক্তিটি আর কার্যকর থাকবে না। এছাড়া চুক্তি বাতিলের আগে করা প্রত্যর্পণের অনুরোধের প্রক্রিয়া করার বিষয়ে চুক্তিতে কিছু বলা হয়নি।

ভারত এই বিকল্প ব্যবহার করবে কি না তা নির্ভর করবে দেশটি শেখ হাসিনাকে কতটা মূল্য দেয় তার ওপর। তবে এখন পর্যন্ত এতটুকু স্পষ্ট যে তিনি যেহেতু নয়াদিল্লির ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন, সেহেতু তার পাশে থাততে চায় ভারত।

সূত্র: এনডিটিভ, জি নিউজ, হিন্দুস্তান টাইমস।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *