বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মাঝিহট্ট ইউনিয়ন ৯ নং ছাতুয়া আকন্দ পাড়া গ্রামের মুসলিম উদ্দিন এর ছেলে মোশারফ হোসেন তিনি বগুড়া জেলা ছাত্র দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিবগঞ্জ উপজেলার টিসিবি ডিলার।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) জানাগেছে দলীয় কোন্দলের অংশ হিসেবে গ্রুপিং এর শিকার হন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মীর শাহ আলমের। মোশারফ হোসেন গ্রেফতার হওয়ার পরে আমাদের জানান তিনি আক্রোশের শিকার হয়ে ৭ মামলা মাথায় নিয়ে জেলে প্রবেশ করার একমাত্র কারণ তার টিসিবি ডিলার। চাহিদা অনুযায়ী চাঁদা দেওয়ায় অস্বীকার করার কারনে ৭ মামলায় তিনি প্রবেশ করলেন জেল হাজতে।
বেশ কিছু দিন আগে সরকারী প্রশাসন কতৃক ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল নিজ দলীয় বা ব্যক্তি আক্রোশের শিকার হয়ে মামলা খাওয়া ব্যক্তিবর্গ কে কোন রকমের হয়রানি করা হবে না এবং তাদের কে বাড়িতে অবস্থান করার কথা বলা হয়েছিল। গতকাল ১২ জানুয়ারি রোজ রবিবার মামলা সংক্রান্ত কাজের খোঁজখবর নেওয়ার জন্য কোর্টে উপস্থিত হন সাবেক ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশারফ। তার দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন জনাব তারেক রহমানের নিকট আমার আকুল আবেদন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে মামলা গুলো পর্যবেক্ষণ করা হোক। তিনি অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানান যে আমি জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমি টিসিবি ডিলার হওয়ার কারণই আমার প্রতি তাদের আক্রোশের মূল কারন।
আমি তাদের চাহিদা অনুযায়ী চাঁদা দেইনি বলে আমার উপরে ৭টি মামলা দিয়েছে উক্ত মামলা গুলোর খোঁজখবর নেওয়ার জন্য কোর্টে উপস্থিত হলে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহ আলমের নির্দেশে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ওহাব ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক পরিচয়দান কারী আতিক পুলিশের সাথে গোপনে যোগাযোগ করে আমাকে ধরিয়ে দেয়। সাবেক ছাত্রদলের এই নেতা বগুড়া ডিসি অফিসে হয়রানি মুলুক মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত কমিটির বরাবরে তার উপরে চাপিয়ে দেওয়া মামলাগুলো সুষ্ঠ তদন্তের জন্য একটা আবেদনও করেছেন, যাহার তারিখ ১২- ১২- ২০২৪ ইং এবং ডাইরি নং ৫৩।
আরো জানা গেছে বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক ছাত্রদলের নেতা বিপুল এর মা সাবেক উপজেলা মহিলা চেয়ারম্যান বিউটি বেগম কে ভোট করার জন্য মীর শাহ আলম মোবাইলে নির্দেশনা দেন এবং বিপুলকে যুবদলের নেতা আরমানের সাথে কাজ করার জন্য বলেন।ভিডিওতে কৌশল হিসেবে মীর শাহ আলম বলেন আপা আপনি ভোট করেন তাতে আমাদের কোন সমস্যা নেই অন্তত আমাদের বিএনপির কিছু ছেলেপেলে রক্ষা পাবে। বিউটি বেগম তার তৈরি স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হলে কয়েকদিনের মধ্যে তাদের এই গোপন ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি নির্দেশে ছাত্রদলের বিপুলের সাথে থাকলেও পরবর্তীতে ৫ ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলে টিসিবি ডিলার মোশারফ এর কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন মীর শাহ আলমের সংগোপাঙ্গরা।
চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে এই মোশারফ তখন তার আক্রোশের শিকার হন যে কারণে তার উপরে ৭টি মামলা চাপিয়ে দেন তারা। তারাই অংশ হিসেবে গতকাল উপজেলা বিএনপির সভাপতির নির্দেশে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওহাব ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ দপ্তর সম্পাদক আতিক পুলিশের সাথে যোগ সদস্য করে তাকে ধরিয়ে দেয়।
Leave a Reply