1. Aktarbd2@ichamotinews.com : ichamotinews : ichamotinews
  2. zakirhosan68@gmail.com : zakir hosan : zakir hosan
লন্ডনে টিউলিপের আরও এক উপহারের ফ্ল্যাটের সন্ধান - ইছামতী নিউজ
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:২৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট নিউজ :
বগুড়ার শিবগঞ্জে তৃণমূল বার্তা’র ১৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত এখন টেলিভিশনের সিইও এবং বগুড়া প্রতিনিধির অপতৎপরতার প্রতিবাদে বগুড়ায় মানববন্ধন বগুড়ার মহাস্থান যাদুঘরের টিকিট কাউন্টারে আগুন লন্ডনে টিউলিপের আরও এক উপহারের ফ্ল্যাটের সন্ধান জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে-প্রেস সচিব পাবনার আটঘরিয়ায় কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা সদরের খেরিয়াপাড়া ইসলামী শ্রমজীবি সমবায় সমিতির আয়োজনে ক্রিড়া প্রতিযোগীতা ও দরিদ্রদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ সদরের কাহোলা পশ্চিম হিন্দুপাড়ায় রাস্তা তৈরি করাকে কেন্দ্র করে মারপিট আহত ২ তীব্র শীতের মধ্যেই বৃষ্টির খবর জানাল আবহাওয়া অফিস অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি

লন্ডনে টিউলিপের আরও এক উপহারের ফ্ল্যাটের সন্ধান

নিউজ ডেস্ক | ইছামতী নিউজ
  • Update Time : Sunday, 5 January, 2025
  • ২৯ Time View

যুক্তরাজ্যের লন্ডনে টিউলিপ সিদ্দিকের আরও একটি উপহারের ফ্ল্যাটের সন্ধান মিলেছে। উত্তর লন্ডনের ওই ফ্ল্যাটটি তার পরিবারকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এক সহযোগী। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমসের পাশাপাশি এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সানডে টাইমস এবং দ্য টেলিগ্রাফও। টেলিগ্রাফ বলছে, টিউলিপ সিদ্দিক তার খালা এবং বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক ঘনিষ্ঠজন কর্তৃক তার পরিবারকে দেওয়া দ্বিতীয় একটি বাড়িতে বসবাস করতেন বলে জানা গেছে। মূলত টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার মন্ত্রিসভার সদস্য, তিনি ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দি ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার কাজ যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আর্থিক অপরাধ ও দুর্নীতি মোকাবিলার দায়িত্বে থাকা ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেডে একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। তার কিশোরী বোন আজমিনা তাকে সেটি ব্যবহারের জন্য দেওয়ার পরে টিউলিপ ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। অন্যদিকে সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৯ সালে বাংলাদেশি আইনজীবী মঈন গণি উত্তর লন্ডনের ওই ফ্ল্যাটটি টিউলিপের বোন আজমিনা সিদ্দিকের নামে হস্তান্তর করেন। পরে আজমিনা বিনামূল্যে এ ফ্ল্যাটটি টিউলিপকে ব্যবহার করতে দেন। এর আগে টিউলিপ সিদ্দিক ২০০৪ সালে লন্ডনের কিংস ক্রসের কাছে একটি দুই বেডরুমের অ্যাপার্টমেন্ট পেয়েছিলেন কোনও অর্থপ্রদান না করেই, গত শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।পূর্বে অপ্রকাশিত ল্যান্ড রেজিস্ট্রি ফাইলিংয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি এ তথ্য সামনে এনেছে।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডনের কিংস ক্রস এলাকায় অবস্থিত ২ শয্যাকক্ষের সেই ফ্ল্যাটটি ২০০৪ সালে টিউলিপকে উপহার দিয়েছিলেন আবদুল মোতালিফ নামে এক ডেভেলপার। মোতালিফ বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী এবং টিউলিপের খালা শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের অনুসন্ধান বলছে, ১ লাখ ৯৫ হাজার পাউন্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ কোটি ৯৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা) দিয়ে ২০০১ সালের জানুয়ারিতে ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন আবদুল মোতালিফ। ফ্ল্যাটটি বেশ সস্তাতেই পেয়েছিলেন তিনি। কারণ, একই বছরের আগস্ট মাসে সেই ফ্ল্যাটটির পার্শ্ববর্তী আরেকটি ফ্ল্যাট বিক্রি হয়েছে ৬ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ কোটি ৭৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা)। ভূমি রেজিস্ট্রি নথিতে বলা হয়েছে, ওই ফ্ল্যাটের জন্যও কোনও অর্থ পরিশোধ করতে হয়নি টিউলিপ বা আজমিনাকে। আজমিনার বয়স তখন ছিল ১৮ বছর এবং অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে সেসময় তিনি কেবল পড়াশোনা শুরু করতে যাচ্ছিলেন। পরবর্তীতে সেখানে থাকতে শুরু করেন তার বড় বোন টিউলিপ সিদ্দিক।

অবশ্য শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ও কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিট জোর দিয়ে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এখনও টিউলিপ সিদ্দিকের ওপর আস্থা রেখেছেন। টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিউলিপ সিদ্দিক ইতোমধ্যেই বেশ কিছু অফিসিয়াল নথিতে হ্যাম্পস্টেড ফ্ল্যাটটিকে তার বাসভবন হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছেন। তবে ঠিক কবে থেকে টিউলিপ ওই ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করেন তা স্পষ্ট নয়, যদিও ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ওয়ার্কিং মেনস কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর তিনি কোম্পানির নথিতে তার ঠিকানা হিসেবে ফ্ল্যাটটি তালিকাভুক্ত করেছিলেন। ২০১৪ সালে ক্যামডেন আর্টস সেন্টারের ট্রাস্টি হওয়ার পর এবং ২০১৪ সালের মার্চে হ্যাম্পস্টেড ওয়েলস অ্যান্ড ক্যাম্পডেন ট্রাস্টের ট্রাস্টি হওয়ার পরও তিনি একই ঠিকানা ব্যবহার করেছিলেন। তার স্বামী ক্রিশ্চিয়ান পার্সিও ২০১৬ সালের মে মাস পর্যন্ত এই ঠিকানাকে তার ঠিকানা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিলেন এবং তখনও টিউলিপ সিদ্দিক হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্নের লেবার এমপি ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত মাসে টিউলিপ সিদ্দিকের পরিবারের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করছে বলে জানা গিয়েছিল। এ ঘটনায় ওই মাসেই যুক্তরাজ্যে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দেশটির কর্মকর্তারা। মূলত দেশটির মন্ত্রিপরিষদ অফিসের ন্যায় এবং নৈতিকতা দল তাকে এই জিজ্ঞাসাবাদ করে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *