বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার কাগইল ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে কাগইল করুণা কান্ত উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করার কথা থাকলেও ইউ পি চেয়ারম্যান আবু জাফর চাল বিতরণ করেছেন কার্ড প্রতি ৯ কেজি ৩০০ গ্রাম (বালতির মাপে) এবং মেম্বারগণ চাল বিতরণ করেছেন ৮ কেজি ২০০ গ্রাম (বালতি অনুযায়ী) ।
রবিবার (২৩ মার্চ) কার্ডধারীদের চাল কম দেওয়া হচ্ছে গোপনে পাওয়া এমন খবরের প্রেক্ষিতে কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী সেখানে উপস্থিত হন। সরেজমিনে দেখাগেছে বরাদ্দকৃত চালের পরিমান ছিল ১৭৩৯ বস্তা বা ৫২১৭০ কেজি চাল। বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ করার কথা ৫২১৭ জনের মধ্যে কিন্তু চেয়ারম্যান এর লোকসংখ্যা বৃদ্ধি হয় প্রায় ১০০ জন। যদিও চেয়ারম্যান এর অংশে বেচে যাওয়া চাল প্রায় ৮৩ জনের মধ্যে বিতরণ করা হয় আরও কিছু অতিরক্ত ব্যক্তিদের টাকা পয়সা দিয়ে বিদায় করা হয়। মেম্বারদের অতিরিক্ত কিছু লোকসংখ্যা বৃদ্ধি হয়।হিসাব মতে চাল দেওয়ার কথা ৪০২০ জনকে। প্রতিজনে ১৮০০ গ্রাম পরিমাণ চাল বেচে যাওয়ায় উক্ত চাল দিয়ে অতিরিক্ত ব্যক্তিদের চাল বিতরণ করা সম্ভব হয়।
চেয়ারম্যান তার বক্তব্যে বলেন ঈদ উপলক্ষে এমন বরাদ্দের কথা শুনে প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে কিছু অতিরিক্ত গরীব অসহায় ব্যক্তি ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত হলে মেম্বার ও আমার বরাদ্দ থেকে বেচে যাওয়া চাল গুলো গরিব অসহায়দের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। কার্ডধারী ছাড়া কতিপয় কিছু ব্যক্তিকে প্রশ্ন করা হলে তারা বলেন আমাদের কোন কার্ড নেই তবু চেয়ারম্যান ও মেম্বারগন আমাদেরকে চাল দিয়েছেন। সকলের চাল প্রাপ্তীতে তাদের মধ্যে ঈদের আনন্দ কাজ করছে এমন ঘটনা এলাকায় একটি নতুন চমক সৃষ্টি হয়েছে। চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কাগইল ইউনিয়ন এর দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্র্যাগ অফিসার শহিদুল ইসলাম ও ১নং কাগইল ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান আবু জাফর ও ইউপি সদস্য সদস্যরা।
চাল বিতরণ কার্যক্রমে ইউনিয়নের স্থানীয় লোকজন, ইউপি সদস্যগণ, সুবিধাভোগী জনগণ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত থেকে এমন কাজ আগামীতে আরও সুনাম সৃষ্টি করবে বলে আশা করছে। এ সময় তারা সরকারের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং এমন সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
সরকারের এই উদ্যোগের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষ কিছুটা স্বস্তি ও আনন্দীত। ভবিষ্যতেও এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে যা তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
Leave a Reply