বগুড়ার শেরপুরে আকবর আলী (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২২ মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ধড়মোকাম উত্তরপাড়া গ্রামের চারমাথা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আকবর আলীর বাড়ি ধড়মোকাম দক্ষিণপাড়া গ্রামে। একই গ্রামের আবদুল লতিফ (২৮) নামে এক যুবক হত্যায় জড়িত বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা। আবদুল লতিফ শাহবন্দেগী ইউনিয়নের শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আবদুল লতিফের সঙ্গে আকবর আলীকে একটি চায়ের দোকানে দেখা যায়। রাত ১১টার দিকে ধড়মোকাম সড়কের চারমাথায় দুজনকে ধস্তাধস্তি করতে দেখেন এলাকার কিছু লোক। তারা এগিয়ে এলে লতিফ পালিয়ে যান। এসময় আকবর আলী রক্তাক্ত অবস্থায় সড়কের ওপরে পড়ে ছিলেন। খরব পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে শেরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালের চিকিৎসক আকবর আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো দা, চাদর ও মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহতের ছেলে মো. শাহজামাল বলেন, লতিফের ফোন পেয়ে তার বাবা রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। একজন প্রতিবেশী তার বাবার আহত হয়ে সড়কের পড়ে থাকার খরব দিলে সেখানে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি কিছু একটা বলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বলতে পারেননি।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, গতকাল রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে একটি দা, চাদর ও মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে।