1. Aktarbd2@ichamotinews.com : ichamotinews : ichamotinews
  2. zakirhosan68@gmail.com : zakir hosan : zakir hosan
নিম পাতার উপকারিতা - ইছামতী নিউজ
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৫ অপরাহ্ন
আপডেট নিউজ :
বগুড়া সদরে গোকুল বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে সূধী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা কাতার বাংলাদেশের সাথে এলএনজি সরবরাহের জন্য সমঝোতা স্মারক সম্প্রসারণ করবে পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ-অটোচালকদের সড়ক অবরোধ বগুড়ায় মোবাইল সাংবাদিকতা প্রশিক্ষণের সফল সমাপ্তি-৩৫ সাংবাদিক পেলেন সনদপত্র পুলিশ বিনিয়োগকারীদের জন্য নিবেদিতপ্রাণ যোগাযোগ লাইন প্রদান করেছে ইউনেস্কোর মেক্সিকান প্রার্থী গ্যাব্রিয়েলা রামোস পাতিনা প্রধান উপদেষ্টার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ প্রধান উপদেষ্টা ঝামেলামুক্ত ঈদের জন্য কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘকে আরও বাংলাদেশি নারী শান্তিরক্ষী নিয়োগের আহ্বান স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের কাছ থেকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করলেন-প্রধান উপদেষ্টা গাক’র আয়োজনে গাইবান্ধায় স্বপ্ন প্রকল্পের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

নিম পাতার উপকারিতা

স্বাস্থ্য ডেস্ক | ইছামতী নিউজ
  • Update Time : Sunday, 23 March, 2025
  • ১২০ Time View

নিম একটি ঔষধি গাছ; যার ডাল, পাতা, রস সবই কাজে লাগে। নিম একটি বহুবর্ষজীবী ও চিরহরিত্ বৃক্ষ।

বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশে ঔষধি গাছ হিসেবে নিমের ব্যবহার হয়ে আসছে গত ৫ হাজার বছর ধরে। প্রকৃতি কী করে একই সঙ্গে সমস্যা ও সমাধান ধারণ করে রেখেছে তার উত্কৃষ্ট উদাহরণ নিম। নিমের আছে ১৩০টি ঔষধি গুণ। ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া নাশক হিসেবে নিম খুবই কার্যকর। আর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এর জুড়ি মেলা ভার। আসুন জেনে নেওয়া যাক নিমের উপকারিতাগুলো—

ত্বক :বহুদিন ধরে রূপচর্চায় নিমের ব্যবহার হয়ে আসছে। ত্বকের দাগ দূর করতে নিম খুব ভালো কাজ করে। এছাড়াও এটি ত্বকে ময়েশ্চারাইজার হিসেবেও কাজ করে। ব্রণ দূর করতে নিমপাতা বেটে লাগাতে পারেন। আবার ঘরে তৈরি নিমের বড়িও খাওয়া যেতে পারে। বড়ি তৈরি করতে হলে প্রথমে নিমপাতা ভালোভাবে ধুয়ে বেটে নিন। এবার হাতে ছোট ছোট বড়ি তৈরি করুন। বড় ডিশে ফ্যানের বাতাসে একদিন রেখে দিন। পরদিন রোদে শুকোতে দিন। নিমের বড়ির জল একেবারে শুকিয়ে এলে এয়ারটাইট বয়ামে সংরক্ষণ করুন। নিমপাতা ফাঙ্গাস ও ব্যাকটেরিয়াবিরোধী। তাই ত্বকের সুরক্ষায় এর জুড়ি নেই। ব্রণের সংক্রমণ হলেই নিমপাতা থেঁতো করে লাগালে ভালো ফল নিশ্চিত। মাথার ত্বকে অনেকেরই চুলকানি ভাব হয়। নিমপাতার রস মাথায় নিয়মিত লাগালে এই চুলকানি কমে। নিয়মিত নিমপাতার সঙ্গে কাঁচা হলুদ পেস্ট করে লাগালে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি ও স্কিন টোন ঠিক হয়। তবে হলুদ ব্যবহার করলে রোদ এড়িয়ে চলাই ভালো। নিমপাতার চেয়ে হলুদের পরিমাণ কম হবে। নিমপাতা সিদ্ধ জল গোসলের জলর সঙ্গে মিশিয়ে নিন। যাদের স্কিন ইরিটেশন ও চুলকানি আছে, তাদের এতে আরাম হবে আর গায়ে দুর্গন্ধের ব্যাপারটাও কমে যাবে আশা করা যায়।

চুল :উজ্জ্বল, সুন্দর ও দৃষ্টিনন্দন চুল পেতে নিমপাতার ব্যবহার বেশ কার্যকর। চুলের খুসকি দূর করতে শ্যাম্পু করার সময় নিমপাতা সিদ্ধ জল দিয়ে চুল ম্যাসেজ করে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। খুসকি দূর হয়ে যাবে। চুলের জন্য নিম পাতার ব্যবহার অদ্বিতীয়। সপ্তাহে ১ দিন নিমপাতা ভালো করে বেটে চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টার মতো রাখুন। এবার ১ ঘণ্টা পর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল পড়া কমার সঙ্গে সঙ্গে চুল নরম ও কোমল হবে। মধু ও নিমপাতার রস একত্রে মিশিয়ে সপ্তাহে কমপক্ষে ৩ দিন চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত লাগান। এবার ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। তারপর শ্যাম্পু করুন আর অধিকারী হোন ঝলমলে সুন্দর চুলের। এক চা চামচ আমলকির রস, এক চা চামচ নিমপাতার রস, এক চা চামচ লেবুর রস, প্রয়োজন অনুযায়ী টকদই মিশিয়ে সপ্তাহে ২ দিন চুলে লাগিয়ে আধঘণ্টা অপেক্ষা করার পর শ্যাম্পু করুন।

চুলকানি :নিমপাতা সিদ্ধ করে সেই জল দিয়ে স্নান করলে খোসপাচড়া চলে যায়। পাতা বা ফুল বেঁটে গায়ে কয়েকদিন লাগালে চুলকানি ভালো হয়। পাতা ভেজে গুঁড়া করে সরিষার তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলকানিতে লাগালে জাদুর মতো কাজ হয়। নিমপাতার সঙ্গে সামান্য কাঁচা হলুদ পিষে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ আকারে ৭-১০ দিন ব্যবহার করলে খোস-পাঁচড়া ও পুরোনো ক্ষতের উপশম হয়। নিমপাতা ঘিয়ে ভেজে সেই ঘি ক্ষতে লাগালে ক্ষত অতি দ্রুত আরোগ্য হয়।

কৃমিনাশক :পেটে কৃমি হলে শিশুরা রোগা হয়ে যায়। পেটে বড় হয়। চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যায়। বাচ্চাদের পেটের কৃমি নির্মূল করতে নিমের পাতার জুড়ি নেই। এজন্য ৫০ মিলিগ্রাম পরিমাণ নিম গাছের মূলের ছালের গুঁড়া দিনে তিন বার সামান্য গরম জলসহ খেতে হবে। আবার ৩-৪ গ্রাম নিম ছাল চূর্ণ সামান্য পরিমাণ লবণসহ সকালে খালি পেটে সেবন করলে কৃমির উপদ্রব হতে রক্ষা পাওয়া যায়। নিয়মিত এক সপ্তাহ সেবন করে যেতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১-২ গ্রাম মাত্রায় সেব্য।

দাঁতের রোগ :দাঁতের সুস্থতায় নিমের ডাল দিয়ে মেসওয়াক করার প্রচলন রয়েছে সেই প্রাচীনকাল থেকেই। নিমের পাতা ও ছালের গুড়া কিংবা নিমের ডাল দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁত হবে মজবুত, রক্ষা পাবেন দন্ত রোগ থেকেও। কচি নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত ভালো থাকে। নিম পাতার নির্যাস জলে মিশিয়ে বা নিম দিয়ে মুখ আলতোভাবে ধুয়ে ফেললে দাঁতের রক্তপাত ও মাড়ির ব্যথা কমে যায় এবং বুকে কফ জমে গেলে নিম পাতা বেটে এর ৩০ ফোঁটা রস সামান্য গরম জলে মিশিয়ে দিনে তিন থেকে চারবার খেলে উপকার পাওয়া যায়।

অ্যালার্জি :অ্যালার্জির সমস্যায় নিমপাতা ফুটিয়ে স্নান করুন। অ্যালার্জি যাবে ১০০ হাত দূরে। তাছাড়া কাঁচা হলুদ ও নিমপাতা একসঙ্গে বেঁটে শরীরে লাগান। অ্যালার্জি কমবেই।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *