বগুড়ার জেলার গাবতলী উপজেলার উজগ্রাম পিন্টু বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিংকু রানী দেবীকে বিদ্যালয় কক্ষে অবরুদ্ধ ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এ ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অভিভাবক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সচেতন এলাকাবাসীর আয়োজনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা জানান, বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি গঠন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছিল। গত ১৩ জানুয়ারি শহীদ আলম, পিন্টু মিয়া ও শাহ আলমের নাম অন্তর্ভুক্ত করে একটি প্রস্তাবিত কমিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে জমা দেন প্রধান শিক্ষক রিংকু রানী দেবী।
তবে স্থানীয় প্রভাবশালী গাজী মাশকুরুল আলম চৌধুরী সৌরভ তার নাম কমিটিতে রাখার জন্য প্রধান শিক্ষকের ওপর একাধিকবার চাপ প্রয়োগ করেন। প্রধান শিক্ষক এই অনৈতিক চাপ প্রত্যাখ্যান করায় ৯ এপ্রিল, বুধবার সকালে সৌরভের অনুসারীরা বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে তাকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করে বলে অভিযোগ উঠে।
এ ঘটনায় বিদ্যালয়সহ গোটা এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণপাড়া ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শফিক মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান হান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক আঁকো বাদশা, ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান, সানোয়ার মন্ডল, স্বেচ্ছাসেবক দলের বকুল আকন্দ, ইউপি সদস্য মো. ফারুক হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল রহিমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বক্তারা বলেন, একজন শিক্ষকের উপর এমন হীন হামলা কেবল ব্যক্তি নয়, গোটা শিক্ষাব্যবস্থার ওপর আঘাত। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা। বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ন্যায়বিচার না হলে এলাকাবাসীকে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সুশাসনের দাবিতে এ প্রতিবাদ এখন শুধু একটি বিদ্যালয়ের সীমায় নয়, এটি পরিণত হচ্ছে একটি সামাজিক আন্দোলনে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সুবিচার এখন সময়ের দাবি।
Leave a Reply