আগ্রাসী প্রজাতির ইউক্যালিপটাস এবং আকাশমনি গাছের চারা রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।
শুক্রবার (১৬ মে) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূরণে সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তি পর্যায়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির জন্য এই গাছগুলো রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
ওই প্রজাতির গাছের চারা রোপণের পরিবর্তে দেশীয় প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করে বনায়ন করার আহ্বান জানানো হয়েছে প্রজ্ঞাপনে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। আগ্রাসী প্রজাতির ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি পরিবেশ সংরক্ষণে সরকার নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার স্বার্থে এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও ব্যক্তি পর্যায়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির জন্য ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বলা হয়, এ দুটি গাছের প্রজাতি ‘আগ্রাসী’ বা ‘Invasive’ হওয়ায় এগুলো মাটির উর্বরতা হ্রাস করে, পানি শোষণ করে আশপাশের উদ্ভিদ ও প্রাণবৈচিত্র্যের ক্ষতি করে এবং পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে পরিবেশবান্ধব বিকল্প হিসেবে দেশীয় প্রজাতির ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপণের আহ্বান জানানো হয়েছে।
পরিবেশবান্ধব বনায়ন নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে দেশের সকল স্তরে সচেতনতা বাড়ানোর উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। একইসঙ্গে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং এর লঙ্ঘনে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ বাংলাদেশে বহু আগে থেকে জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও দীর্ঘদিন ধরেই পরিবেশবিদরা এ গাছগুলোর নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন। শেষমেশ সরকার তাদের সুপারিশের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
Leave a Reply