রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের যৌথ উদ্যোগে বগুড়ার সেন্ট্রাল হাইস্কুল ঈদগাহ্ মাঠে অনুষ্ঠিত হলো “তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার” শীর্ষক এক ঐতিহাসিক সমাবেশ।
শনিবার (২৪ মে) দুপুরে আয়োজিত এই সমাবেশে অংশ নেন হাজারো যুবক, ছাত্র ও স্বেচ্ছাসেবক, যা পরিণত হয় তরুণদের প্রাণবন্ত এক মিলনমেলায়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশ ছিল তরুণদের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের দৃপ্ত উচ্চারণ। রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা ব্যানার-প্ল্যাকার্ড ও শ্লোগানে মুখরিত করে তোলেন সমাবেশস্থল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য জনাব নজরুল ইসলাম খান বলেন, “তারুণ্য হচ্ছে দেশের ভবিষ্যৎ। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে তরুণদের নেতৃত্বে থাকবে এক নতুন জাগরণ।” বিশেষ অতিথি অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, “যুবসমাজকে আজ তাদের কণ্ঠস্বর রোধ করা হচ্ছে। তাদের মতপ্রকাশের অধিকার হরণ করা হয়েছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সংগঠিত হতে হবে।
প্রধান বক্তা যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেন, “আজকের এই জমায়েত প্রমাণ করে তরুণ প্রজন্ম জেগে উঠেছে। তাদের অধিকার ফিরিয়ে আনতে আমরা রাজপথে আছি এবং থাকব। বিশেষ বক্তা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস.এম জিলানি তরুণদের আদর্শিক সংগঠনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সঞ্চালনায় ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রাজিব মাহাম্মদ।
বক্তারা আরও বলেন, এই দেশে এখন ভোটাধিকার নেই, নেই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। তরুণদেরই এগিয়ে এসে এই অবস্থা বদলাতে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে তারা হবে প্রধান চালিকা শক্তি।” প্রতিটি উপজেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের বিশাল মিছিল সমাবেশে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। তাদের স্লোগান, ব্যানার ও সম্মিলিত পদচারণায় গোটা এলাকাজুড়ে ছিল প্রাণের স্পন্দন। সমাবেশ শেষে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আহ্বান জানান, “আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। শান্তিপূর্ণ ও সংগঠিত আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাই।
এই সমাবেশটি ছিল তরুণদের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর, রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের দুর্দমনীয় প্রত্যয় এবং গণতন্ত্রের জন্য দৃঢ় অঙ্গীকারের এক অনন্য উদাহরণ।
Leave a Reply