বগুড়া গাবতলী উপজেলায় অপহরণকারীদের ঘাঁটি ভাঙল পুলিশ। সেই সাথে তিনজন গ্রেপ্তার এবং ভিকটিম উদ্ধার।
শুক্রবার (৩০ মে) বগুড়ার গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হকের সাহসী ও পেশাদারিত্বপূর্ণ অভিযানে গাবতলী উপজেলায় আবারও বড় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক সাড়াশী অভিযান চালিয়ে তিনি তৈরি করেছেন এক দৃষ্টান্ত, যার ফলে অপরাধীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সর্বশেষ অভিযানে মহিষাবান ইউনিয়নের কর্ণিপাড়া গ্রামের মোঃ জাকারিয়া (৩০), পেশায় রাজমিস্ত্রিকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কাজের কথা বলে কৌশলে ডেকে নিয়ে অপহরণ করে একদল দুর্বৃত্ত। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করে প্রথমে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। বাধ্য হয়ে ভিকটিমের স্ত্রী নিলুফা বেগম সেই টাকা প্রদান করলেও, পুনরায় আরও এক লক্ষ টাকা দাবি করে তারা। এ সময় ভিকটিমকে শারীরিক নির্যাতনের আওয়াজও শুনিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হয়।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে স্ত্রী নিলুফা বেগম গাবতলী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওসি সেরাজুল হক অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে তাৎক্ষণিকভাবে মামলা রেকর্ড করেন এবং এসআই সুজল দেবনাথের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম গঠন করেন।
আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ২৯ মে রাতেই বগুড়া জেলার শেরপুর থানার কুসুমদী ইউনিয়নের টুনিপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলোঃ বিনজু মিয়া ওরফে রকি (২৫), পিতা আব্দুল খলিল, রথিরাম পাঠানপাড়া, রাজারহাট, কুড়িগ্রাম। মোঃ রাসেল শেখ (২৬), পিতা গোলাম মোস্তফা। রাজু আহমেদ (২৩), পিতা মৃত খোকা প্রামানিক;রা দু’জনেই বনমরিচা, শেরপুর, বগুড়া। অপহরণকারীদের হেফাজত থেকে ভিকটিম মোঃ জাকারিয়াকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে।
ওসি সেরাজুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “অপরাধীদের কোনো ছাড় নেই। আমরা জনগণের নিরাপত্তার জন্য সর্বদা সজাগ ও প্রস্তুত। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।” গাবতলীবাসীর পক্ষ থেকে গর্বিত কণ্ঠে ধন্যবাদ জানানো হয় ওসি সেরাজুল হক ও তাঁর টিমকে। এমন সাহসী অভিযানে এলাকার সাধারণ মানুষ ফিরে পেয়েছে নতুন করে আশ্বাস ও নিরাপত্তার অনুভব।
Leave a Reply