সাধারণত আমরা দেখে থাকি প্রেমিক-প্রেমিকা একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়া, ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত কাটানো, রাত জেগে ফোনে কথা বলে থাকে। কিন্তু এমনই কিছু সম্পর্ক আছে যেখানে কমিটমেন্ট নেই, অথচ আপনি সঙ্গীর প্রতি দুর্বল। দুজনের ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত কাটাচ্ছেন।
এই সম্পর্কের নাম নিয়ে সঙ্গীর সঙ্গে কথাও বললেও কোনো সমাধান পাননি। এমন সম্পর্ককে আপনি হয়তো ভাবতে পারেন রিলেশনশিপ, কিন্তু আদতে সেটি হলো সিচুয়েশনশিপ। যেটি দেখতে প্রেমের মতো হলেও ওটা কোনও সম্পর্কই নয়। বরং, এমন সম্পর্ক শুধু আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এই ধরনের সম্পর্কে শুধু একজনেরই ইমোশনাল অ্যাটাচমেন্ট থাকে। একজনই অন্যজনের উপর দুর্বল হয়। তা ছাড়া সিচুয়েশনশিপের কোনও ভবিষ্যৎ নেই। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এমন সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসাই ভালো।
সিচুয়েশনশিপ থেকে বেরিয়ে আসতে যা করা দরকার, পরিস্থিতি মেনে নিন-আপনি যে সম্পর্কে রয়েছে, সেটা সিচুয়েশনশিপ— এটা সবার আগে মেনে নিন। আপনার পার্টনার আপনাকে ভালোবাসে না। সিচুয়েশনশিপে শুধু শারীরিক সম্পর্ক থাকে। এই কঠিন বাস্তব মেনে নিলে সম্পর্ক থেকে বেরোনো অনেক সহজ হবে। আপনাকে মানতে হবে যে পার্টনার কোনও দিন আপনার অনুভূতিকে সম্মান করবে না, আপনাকে ভালোবেসে সে কোনও কাজ করবে না। আপনি যা চাইছেন, সেটা কোনওদিন পূরণ করবে না পার্টনার। এসব ভেবে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসুন। পরিস্থিতি মেনে নিলে সিচুয়েশনশিপ থেকে বেরোনো সহজ হয়। কিন্তু সবার সামনে বার বার সঙ্গীর প্রশংসা করার দরকার নেই। অন্যদিকে থাকা মানুষ যে আপনার জীবনের জন্য ভালো নয়, এটা স্বীকার করুন। তাই সঙ্গী যা যা করছে, সেগুলোর প্রশংসা করার দরকার নেই। পাশাপাশি সে তার জীবনে কী করে বেড়াচ্ছে, সেই খোঁজও রাখবেন না। চেষ্টা করুন এক্স-কে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলার।
নিজেকে নিয়ে ভাবুন-কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বার্থপর হওয়া জরুরি। বিশেষত যেখানে আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ও জীবনের প্রসঙ্গ উঠছে। সিচুয়েশনশিপ যখন বেরোতে পারছেন না মনে হবে, তখন স্বার্থপর হওয়ার চেষ্টা করুন। ভাবুন, আপনার জীবনের জন্য কোনওটা বেশি জরুরি। নিজেকে ভালোবাসুন এবং নিজেকে ভালো রাখার চেষ্টা করুন। সিচুয়েশনশিপে কোনও দিনই আপনি ভালো থাকবেন না। এগুলো ভেবে পদক্ষেপ করলে সহজেই সিচুয়েশনশিপ থেকে বেরোতে পারবেন।
Leave a Reply