উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি ইউসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ কাদরী বলেন, আমাদের ব্যাংক কৃষির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা কৃষক ও কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করছি। বাণিজ্যিক কৃষির বিকাশের জন্য আমাদের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ভরসার নতুন জানালা প্রকল্পের রূপরেখা তুলে ধরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউসিবির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সেক্রটারি এটিএম তাহমিদুজ্জামান।
দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে কৃষি উদ্যোক্তাদের প্রায়োগিক দক্ষতার উন্নয়ন, বাজার ও বিপণন সক্ষমতা বৃদ্ধি, মূলধন ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং কৃষিঋণ সংক্রান্ত নীতিমালা ও সুদের হারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় ধারণা প্রদান করা হয়। এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন ইউসিবি’র বিশেষ প্রশিক্ষক দল এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাগণ। প্রশিক্ষণ শেষে কৃষকদের কৃষি উপকরণ (জৈব সার, বীজ, ছাতা প্রভৃতি), অংশগ্রহণ ভাতা এবং সনদপত্র প্রদান করা হয়।
স্থানীয় কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের সহায়তায় কৃষি উদ্যোক্তাদের তালিকা তৈরি করে ইউসিবি, যার ভিত্তিতে দেশের ৬৪ জেলার প্রায় সকল উপজেলা থেকে উদ্যোক্তা তৈরি ও বিকাশের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ উদ্যোগের অধীনে ইতোমধ্যে ৩৮ জেলার মোট ৮ হাজার ৫৪৭ জন কৃষি উদ্যোক্তাকে বিষয়-ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও উন্নত পুষ্টিমান নিশ্চিত করার পাশাপাশি জলবায়ু-সহিষ্ণু টেকসই কৃষির প্রসার ঘটাতে সক্রিয় ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়ে গত বছরের শুরুতে কৃষিখাতে সহায়তামূলক প্রকল্প ‘ভরসার নতুন জানালা’ শীর্ষক উদ্যোগ গ্রহণ করে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) পিএলসি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজেদের করপোরেট সামাজিক দায়িত্বের (সিএসআর) অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেয় প্রতিষ্ঠানটি।
এ প্রকল্পের অধীনে দেশের প্রায় সকল উপজেলায় কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি ও বিকাশের উদ্যোগ গ্রহণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যেমন: নির্বাচিত এলাকাসমূহ ‘মডেল এলাকা’ হিসেবে গড়ে তুলে এলাকাগুলোতে ৫৫ হাজার তাল ও অন্যান্য গাছ রোপণ করা হয়েছে; তিন হাজার জন কৃষি উদ্যোক্তাকে মৎস্য, পশুপালন এবং শস্য ও সবজি উৎপাদন বিষয়ক কারিগরি প্রশিক্ষণ এবং জৈবসার, উন্নত বীজ ও কৃষি-সংশ্লিষ্ট স্মার্ট যন্ত্র প্রদান করা হয়েছে, ১০টি নির্বাচিত কৃষক দলকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত ‘আরো মাছ’ ডিভাউস প্রদানের পাশাপাশি পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বগুড়ার চর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ সেন্টারের সহযোগিতায় গাইবান্ধা ও লালমনিরহাটের ২৫০ একর জমিতে তামাকের বিকল্প ফসল গম ও ভূট্টা চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
Leave a Reply