বীজ জার্মেনিশন পদ্ধতি
“””””””””””””””””””” সর্ব প্রথম আপনি ক্রয় করা পেকেট টি কেটে বীজ গুলো বের করে নিবেন, এরপর শীতকালীন সময় হলে দুই ঘন্টা আর গরম কালীন সময়ে এক ঘন্টা রোদে শুকিয়ে নিবেন।
রোদে শুকিয়ে নিলে বীজ ভিতরের একটা আবরন পেটে জার্মেনিশন ক্ষমতা বেড়ে যায়, তবে অধিক পরিমাণে শুকানোর ফলে বীজ এর জার্মেনিশন এ সমস্যাও হতে পারে তাই শীতকালীন সময় ২ ঘন্টা গরমের সময়ে ১ ঘন্টাই আদর্শ সময় এরপর বীজ গুলো ১২ ঘন্টা সচ্ছ পানিতে ভিজিয়ে রাখবেন শষা,মিষ্টি কুমড়া বা এজাতীয় বীজ আরো কম সময় ও রাখলেই হয়ে যাবে, করলা, তরমুজ,চিচিঙ্গা এ জাতীয় গুলো আরেকটু বেশি সময় রাখলে ও সমস্যা নাই।
এরপর বীজ গুলো পানি থেকে তুলে নিবেন সবচেয়ে ভালো হয় যদি কার্বোন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাক নাশক দিয়ে ৩০/৪০ মিনিট ভিজিয়ে রাখা যায়, এতে করে জিবানো বা ব্যাকটেরিয়া থাকলে ধ্বংস হয়ে যাবে এরপর একটা সুতির কাপড় ভিজিয়ে নিংড়ে নিবেন বীজ গুলো কাপড়ে রেখে কাপড় টা ভালো বেশি করে ভাজ দিয়ে পেচিয়ে নিবেন, এরপর এই কাপড়টা দধির বক্স বা খড়ের স্তুপের ভিতরে রেখে দিবেন, দিনের বেলায় রোদে এবং রাতের বেলায় কম্বল এর মধ্যে রাখতে পারেন, শীতকালে নিজের শরীরের জেকেট এর পকেটে রেখে ঘুমালে ও তাড়াতাড়ি জার্মেনিশন হয়।
শক্ত প্রজাতির বীজ হলে ৩ দিন অপেক্ষা করুন,আর শষা বা মিস্টি কুমড়া জাতীয় হলে একদিনেই জার্মেনিশন হয়, তবে শীতকালীন সময় বেশি সময় লাগতে পারে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার এই সময় অতিবাহিত হলে বক্স খুলে দেখবেন আপনার বীজ এর মান ভালো ৯৫% থেকে ১০০% পর্যন্ত জার্মেনিশন আসবে ইনশাআল্লাহ।
Leave a Reply