1. Aktarbd2@ichamotinews.com : ichamotinews : ichamotinews
  2. zakirhosan68@gmail.com : zakir hosan : zakir hosan
তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রের লেখা বই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস - ইছামতী নিউজ
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০১:০৫ অপরাহ্ন
আপডেট নিউজ :
বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা আন্দোলনকারীদের বগুড়ায় আতঙ্কে বাস থেকে লাফিয়ে পড়ে প্রাণ গেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর বগুড়ায় বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা ও জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ’র পুরস্কার বিতরণ সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বগুড়া জেলা শাখার আয়োজনে বৃক্ষরোপন ও চারাগাছ বিতরণ অনুষ্ঠিত বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা কোটা আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্র-প্রতিবাদে বগুড়ায় বিক্ষোভ মিছিল বগুড়ায় ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল বগুড়ায় ব্যাংকের আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ: ব্যবস্থাপকসহ ছয়জনের কারাদণ্ড বগুড়ায় শুরু হলো ৭ দিনব্যাপী বৃক্ষ মেলা বগুড়ার শিবগঞ্জে সৈয়দপুরে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযোদ্ধা সাইদুরজ্জমানের জানাযা সম্পন্ন

তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রের লেখা বই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস

নিউজ ডেস্ক | ইছামতী নিউজ
  • Update Time : Saturday, 6 April, 2024
  • ১২২ Time View

তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত লিখাপড়া করে ভারতের সর্বোচ্চ পদক পদ্মশ্রী পদক লাভ এমনকি তার লিখা বই বিশ্ববিদ্যালয় সিলেবাসেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তার জন্য অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও শুভকামনা।

সাহেব-দিল্লি পর্যন্ত যাওয়ার পয়সা নেই, দয়া করে ডাকযোগে পুরস্কার পাঠিয়ে দিন হলধর নাগ , যার নামের আগে কখনও শ্রী লাগেনি, খান তিনেক জামা, একটি ছেঁড়া রাবার চপ্পল, একটা অ-খিলানযুক্ত চশমা এবং ৭৩২ টাকার জমা মূলধনের মালিক…..আজ পদ্মশ্রী ঘোষিত ইনি হলেন পশ্চিম উড়িশ্যার বাসিন্দা হলধর নাগ।

যিনি কোসলি ভাষার বিখ্যাত কবি। ভাবার বিষয় হল, তিনি এখন পর্যন্ত যতগুলো কবিতা ও ২০টি মহাকাব্য রচনা করেছেন, তার সবগুলোই তার জিহ্বার ডগায় । এবার তাঁর লেখা ‘হলধর গ্রন্থাবলী-২’-এর একটি সংকলন সম্বলপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিলেবাসের অংশ করা হবে।

সাদা পোশাক, সাদা ধুতি, গামছা ও গেঞ্জি পরিহিত হলধর নাগ বেশিরভাগ সময় খালি পায়েই থাকেন। উড়িশ্যার লোক-কবি হলধর নাগ একটি দরিদ্র পরিবারের মানুষ। ১০ বছর বয়সে বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর তৃতীয় শ্রেণিতেই পড়া ছেড়ে দেন তিনি।

অনাথ জীবনে, তিনি বহু বছর ধরে ধাবায় বাসনপত্র পরিষ্কার করে কাটিয়েছেন। পরে একটি স্কুলে রান্নাঘর দেখাশোনার কাজ পান তিনি। কয়েক বছর পরে ব্যাঙ্ক থেকে ১০০০ টাকা ঋণ নিয়ে পেন-পেনসিল ইত্যাদির একটি ছোট দোকান খোলেন সেই স্কুলের সামনেই ।

এটাই ছিল তার আর্থিক অবস্থা। এবার আসা যাক তাঁর সাহিত্যের বিশেষত্বে। ১৯৯৫ সালের দিকে হলধর স্থানীয় উড়িয়া ভাষায় “রাম-শবরী” র মতো কিছু ধর্মীয় পর্বের উপর লেখালেখি শুরু করেন এবং মানুষকে সেগুলো আবৃত্তি করে শোনাতে শুরু করেন। আবেগে ভরপুর কবিতা লিখে মানুষের মধ্যে জোর করে উপস্থাপন করে তিনি এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২ বছর আগে রাষ্ট্রপতি তাকে সাহিত্যের জন্য পদ্মশ্রী দেন।

শুধু তাই নয়, ৫ জন গবেষক এখন তার সাহিত্যে পিএইচডি করছেন যেখানে হলধর নিজেই তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *