প্রতি মুহূর্তে চোখে ক্যামেরার ফ্ল্যাশ পড়ার বিরক্তি, প্রতি সপ্তাহে প্রতিদ্বন্দ্বিতার স্নায়ুক্ষয়।
মঙ্গলবার (৭ মে) এসব থেকে দূরে থাকতেই যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে যোগ দিয়েছেন মেসি। কিন্তু ফুটবলের সঙ্গে জীবনজুড়ে যাওয়া মেসি সেখানেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে আলো কেড়ে চলেছেন।
গত রোববার যেমন মেসির দল ইন্টার মায়ামি ৬-২ গোলে ন্যাশভিলকে হারিয়েছে। ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছেন মেসির সাবেক বার্সা সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ। তবে সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন মেসিই। তিনি পাঁচ গোলে সহায়তা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের লিগে এক ম্যাচে যা সর্বোচ্চ গোল করানোর রেকর্ড।
বিশ্বকাপজয়ী এই বাজির বুড়ো ঘোড়ায় ফুলেফেঁপে উঠতে শুরু করেছে ইন্টার মায়ামির আর্থিক কাঠামোও। ৬০ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক কাঠামোর ক্লাবটি ১২৫-১৩০ মিলিয়ন ডলার আয়ের রেকর্ড গড়েছে। ২০২৪ সালে ২০০ মিলিয়ন ডলার আয়ের প্রত্যাশা করছে ইন্টার মায়ামি।
ফ্রি এজেন্টে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটি মেসিকে পেলেও বছরে সব মিলিয়ে তাঁকে প্রায় ৫৪ মিলিয়ন ইউরো বেতন দিতে হচ্ছে। লিওর সতীর্থ হিসেবে লুইস সুয়ারেজ, সের্গিও বুসকেটস ও জর্ডি আলবা ইন্টার মায়ামিতে এসেছেন। তাদের বেতন বাবদও খরচ করতে হচ্ছে বছরে প্রায় ১০ মিলিয়ন ইউরো। বাস্কেটবল, টেনিস যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান খেলা হওয়ায় ফুটবলে এত অর্থ খরচের ঝুঁকিই নিতে হয়েছে ডেভিড বেকহামদের।
তবে মেসি মায়ামিতে আসার সঙ্গে সঙ্গে শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফলোয়ার বাড়েনি ক্লাবটির, আয়-রোজগারও বেড়েছে চক্রবৃদ্ধি হারে। গত মৌসুমে আর্থিক ও মিডিয়া অগ্রগতির বিবেচনায় ইন্টার মায়ামি ছিল বিশ্বের সেরা ক্রমবর্ধমান ক্লাব।
এর পেছনে অবশ্য ক্লাবটির ব্যবস্থাপক জাভিয়ের অ্যাসেনসির বড় অবদান আছে। ১১ বছর বার্সার প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে মেসির প্রভাব কতটা বড় হতে পারে, তা আঁচ করতে পেরেছিলেন।
জাভিয়ের তাই বলেছেন, ‘মেসি আপনার দলকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে যাবে। এই অগ্রগতিতে আমরা খুশি। এখানকার ফুটবল এগিয়ে যাবে এমন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছি। আরও উন্নতিতে চোখ আমাদের। ইন্টার মায়ামি এখন প্রাক-মৌসুম থেকে বিশ্বের যে কোনো ক্লাবের চেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করার ক্ষমতা রাখে।
Leave a Reply