একা থেকে তাকে নিঃসঙ্গ করে দেয়ার জন্য তার নিজের যে ‘আমিটা’ ছিলো, তাকে কেড়ে নেয়ার জন্য।
একরাশ ভালোবাসার মোহমায়ার জড়িয়ে তাকে পাগল করে দেয়ার জন্য নারী সহজে কারো আপন হয়না,সময় নেয়, এই সময়টুকুর মাঝে পুরুষ তার যেটুকু ভালোবাসা থাকে, উজার করে দেয়, পাগলীটা ভাবে আহ্, এত কেয়ার, এত যত্ন,এত ভালোবাসা,পুরুষ তার সমস্ত কর্মকান্ড ফেলে তার প্রিয় নারীকেই আগলে রাখে পুরোটা সময়, কোথায় বন্ধুবান্ধব, কোথায় কে, কোন খবর রাখেনা কারো, এই আমাকে তার করেইনা ছাড়বে।
নারী সময় চায়, যত্ন চায়, একটু সম্মান চায়, তা ঐ পুরুষটা দিতে পারলেই সে নারীর কাঙ্খিত পুরুষে রুপান্তরিত হয়।নাওয়া নেই, খাওয়া নেই,মানুষটা সময় দিচ্ছে, খেয়াল রাখছে, খেয়েছো কিনা, একটু ঘুমাও নইলে শরীর খারাপ করবে, আরো কত কি। আস্তে আস্তে কল আসা কমে যায়,মেয়েটা কল দিতে শুরু করে, খেয়েছো শরীর কেমন আজ। বেশি ব্যাস্ত হলে থাক, পরে কথা বলি, তারপর কল যায় তিনবার গেলে একবার রিসিভ হয়,আজ বড় ব্যাস্ত আমি, পরে কথা বলি। পরে আর কথা বলা হয়না।
টুংটাং দুটো ম্যাসেজ, গুডনাইট। গুড মর্নিং, কেমন আছো..?খুবই ব্যস্ত, ম্যাসেজ যায় আর যায়, কি করো, কি হলো, বেশি ব্যাস্ত নাকি, দশেক ম্যাসেজ যাওয়ার পর সিন হয় হয়ত, কখনো, রিপ্লে দেয়ার সুযোগ হয়না, মানুষটা আসলে খুবই ব্যাস্ত হবেগো। কল যায় রিসিভ হয়না, একবার, দুবার, তিনবার, একদিন দুদিন, তিনদিন,হ্যা বলো কি হয়েছে কি সমস্যা, না কোন সমস্যা নেই, কথা হয়না কয়দিন। হ্যা ভালো আছি, বড্ড চাপ, আজ এখানে তো কাল ওখানে, খুব ছুটোছুটির মধ্যে আছি। ওহ আচ্ছা, ফ্রি হয়ে কল দিও, পাঁচ দিন, দশ দিন, কল আর আসেও না, রিসিভও হয়না, ব্যস্ততা আর ব্যাস্ততা।
অথচ ফেসবুকে পোস্ট আসে বন্ধুদের সাথে আজ এখানে আড্ডা তো কাল ওখানে।sms যায় ওদের কোথায় পেলে। রাতে জোর করে নিয়ে গেল রেস্তোরায় কিংবা কফি সপে।কাল কথা হবে, গুড নাইট। সে কাল আর আসেনা, কোথায় নাওয়া, কোথায় খাওয়া, কোথায় তার ঘুম। এক বিষন্নতায় ছেয়ে যায় জীবন, মনে হাজারো প্রশ্ন, এই মানুষটাই কি সেই মানুষ। হ্যা, এখনও মাঝে মাঝে হাই, হ্যালো হয়। মানুষটা বড় ব্যাস্ত, হারায়নি কিন্তুু ,,থাইকাও হারানোর মতো কইরা থাইকা যায়।
পেন্সিল হারানোর বয়সটা বড় ভালো ছিলো, মানুষ হারানোর বয়সটা বড্ড ভয়ংকর।
Leave a Reply