আমাদের দেশে দিনদিন যেমন জনসংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে সেই সাথে আবাদি জমির পরিমানও কমে যাচ্ছে। যেহেতু কৃষি প্রধান দেশ বাংলাদেশ। তাই কৃষিতে বেশি বেশি উৎপাদন বাড়াতে হবে। আর গ্রীণচার্জ ফলন বৃদ্ধিতে ব্যাপক ভুমিকা পালন করে।
আমরা কেন গ্রীণচার্জ ব্যবহার করবো । ধান চাষে গ্রীণচার্জ ব্যবহারে ফলন বাড়ে অধিক হারে। গ্রীণচার্জ সরাসরি গাছের ৫টি অংশে কাজ করে। যেমন-শিকড়,কান্ড,পাতা,ফুল ও ফল। গ্রীণচার্জ এর কাজ-গ্রীণচার্জ গাছের শিকড় বৃদ্ধি করে এবং পাতার আকার বাড়ায়। গ্রীণচার্জ ব্যবহারে প্রতি ছড়ায় পুষ্ট দানার সংখ্যা বৃদ্ধি করে ও দানার ওজন বাড়ায়। গ্রীণচার্জ ব্যবহারে গাছের দৃঢ়তা বৃদ্ধি করে বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশ যেমন খরা, ঠান্ডা, রোগবালাই ইত্যাদি প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গ্রীণচার্জ ব্যবহার করলে ফসলের গুনগত মান বৃদ্ধি করে। মাটিতে বিভিন্ন ধরনের সার প্রয়োগের পরিমান প্রয়োজনের তুলনায় কম হলে হরমোনের ঘাটতি হয় তা গ্রীণচার্জ ব্যবহারে ব্যপক ভুমিকা পালন করে।
হরমোনের অভাব হলে-ফসলের অবশিষ্টাংশ মাটি থেকে সম্পূর্ণরূপে খাবার নিতে পারেনা ফলে গাছ দুর্বল হয়ে যায়। এছাড়া বেলে মাটিতে চুয়ানি জনিত অপচয় বেশি হলে এর বিভিন্ন খাদ্য অভাব দেখা যায় তা গ্রীণচার্জ পূরনে কার্যকরি। গাছের বিভিন্ন সমস্যায় গ্রীণচার্জ কাজ করে। যেমন- গাছ গাঢ় সবুজ ও ছোট হয়ে থাকে এবং নেতিয়ে পড়ে। প্রাথমিক অবস্থায় পাতার আগার দিক হলদেটে কমলা রং ধারন করে পরে এ বিবর্ণ রঙ আস্তে আস্তে পাতার গোড়ার দিকে ছড়িয়ে পড়ে, ফলে পাতা মরপ বা শুকিয়ে যায়। অনেক সময় গাঢ় সবুজ পাতায় তিলের দানার মতো ছোট ছোট বাদামী দাগ দেখা যায়। গাছে রোগবালাইয়ের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। শিকড়ের বৃদ্ধি কম হয় এবং প্রায়শই তা পচন রোগে আক্রান্ত হয়।
চিটার হার বেড়ে যায়। ধান গাছ হেলে পড়ে ফলন কমে যায়। শীষে অনেক সময় অনিয়মিত ভাবে সাদা দাগ দেখা দেয় । উপরোক্ত এই সমস্যা হলে আমরা ফসল ভালোভাবে ঘরে তুলতে পারবো না। তাই গ্রীণচার্জ ব্যবহার অপরিশীম।
ব্যবহারবিধি- সাধারণ জমি তৈরির শেষ চাষের সময় গ্রীণচার্জ প্রতি বিঘায় ৫০০মিলি থেকে ১লিটার প্রয়োগ করতে হয়। এছাড়া গাছে স্প্রে করার ক্ষেত্রে প্রতি লিটার পানিতে ১মিলি থেকে ২মিলি হারে ব্যবহার কতে হবে।
লেখক-মোঃআক্তারুজ্জামান মনির,এরিয়া ম্যানেজার,স্মার্ট এগ্রোভেট।
Leave a Reply