1. Aktarbd2@ichamotinews.com : ichamotinews : ichamotinews
  2. zakirhosan68@gmail.com : zakir hosan : zakir hosan
বগুড়ায় বাবা-হারা যমজ তিন ভাই এখন মেডিকেলের ছাত্র - ইছামতী নিউজ
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট নিউজ :
বগুড়ায় বন্ধুর হাতে প্রাণ গেল বন্ধু তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে করনীয় চলতি মাসেই আরেক দফা দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প -এর আওতায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে গ্রাম পুলিশদের নিয়ে ‘গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা বিষয়ক’ দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয় পাবনা আটঘরিয়ায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ শুরু শাকিবকে আমি বিয়ে করবো না -মিষ্টি জান্নাত মুখস্থ শিক্ষার পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আনা হচ্ছে -প্রধানমন্ত্র যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের “ঋণ ও আত্মকর্মসংস্থান কর্মসূচি পালন আটঘরিয়ায় বিশ্ব মা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বগুড়ার মহাস্থানগড় প্রেসক্লাবের আয়োজনে সাংবাদিক খলিলুর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা

বগুড়ায় বাবা-হারা যমজ তিন ভাই এখন মেডিকেলের ছাত্র

রাশেদ | বগুড়া প্রতিনিধি
  • Update Time : Monday, 12 February, 2024
  • ৯১ Time View
একসঙ্গে জন্ম, একসঙ্গে বেড়ে ওঠা। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে পড়েছেন একই প্রতিষ্ঠানে। সর্বক্ষেত্রে তিনজনের ফলাফলও একই। যমজ তিন ভাই সুযোগ পেয়েছেন চিকিৎসাশাস্ত্রে অধ্যয়নের। তবে আলাদা প্রতিষ্ঠানে।
যমজ তিন ভাই হলেন মফিউল হাসান, মফিউল হাসান ও রাফিউল হাসান। মফিউল হাসান গতবছর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়ে সেখানে পড়াশোনা করছেন।
চলতি বছর শাফিউল ইসলাম দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ ও রাফিউল হাসান নোয়াখালী আব্দুল মালেক মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন। বগুড়ার ধুনট উপজেলার বথুয়াবাড়ী গ্রামের মৃত স্কুলশিক্ষক গোলাম মোস্তফার ছেলে তারা। মাত্র ছয় বছর বয়সে বাবা হারান অদম্য এ তিন মেধাবী। এরপর থেকে মা আর্জিনা বেগম কৃষিজমিতে আবাদ করে ছেলেদের পড়াশোনা করিয়েছেন। এমনকী তাদের সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে মা আর্জিনা বিক্রি করেছেন প্রায় চার বিঘা জমি। যমজ এ তিন সহোদর ২০২০ সালে ধুনট সরকারি নইম উদ্দিন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। এরপর বগুড়া সরকারি শাহ সুলতাল কলেজ থেকে ২০২২ সালে জিপি-এ ৫ পেয়ে এইচএসসিতে উত্তীর্ণ হন। বাবা-হারা যমজ তিন সহোদরের অভাবনীয় সাফল্যে শুধু বথুয়াড়ী গ্রাম নয়, গোটা উপজেলায় যেন আনন্দের জোয়ার বইছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বথুয়াবাড়ী গ্রামে গিয়ে কথা হয় যমজ তিন ভাইয়ের রত্নাগর্ভা মা আরজিনা বেগমের সঙ্গে। ছেলেদের সাফল্যে তিনি যে কতটা খুশি হয়েছেন তা তাকে দেখেই বোঝা গেলো। আরজিনা বেগম জানান, তার স্বামী গোলাম মোস্তফা স্থানীয় মাঠপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার পর তিন ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে তিনি অকূল পাথারে পড়েন। পরে অনেকে ভেবেচিন্তে স্বামীর জমিজমা বন্দক রেখে ছেলেদের পড়ালেখার প্রতি মনোযোগী হন। মেয়ে মৌসুমী বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে স্নাতকে অধ্যয়নরত।
আরজিনা বেগম বলেন, আমার জমি না হয় শেষ হয়েছে তবুও এতিম ছেলে ও মেয়ে মানুষের মতো মানুষ হওয়ার রাস্তায় দিয়েছি। তবে অভাব-অনটনের সংসারে মেয়ে মৌসুমীকে কীভাবে বিয়ে দেবেন এবং যমজ তিন ছেলের লেখাপড়ার খরচ কীভাবে বহন করবেন সেই চিন্তা তাড়া করে ফিরছে রত্নগর্ভা এ মায়ের।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *