নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ ইরফান সেলিম ডিএসসিসি’র ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদ থেকে বরখাস্ত হতে পারেন। প্রশাসন থেকে এ সংক্রান্ত নথি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার পর তাকে বরখাস্ত করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে দেশের শীর্ষ গণমাধ্যমগুলো সংবাদ প্রকাশ করেছে।সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, সিটি করপোরেশনের নিয়ম অনুযায়ী কোনো জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হলে লিখিত আকারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় জনপ্রতিনিধি বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়েই ইরফান সেলিমকে বরখাস্ত করা হচ্ছে।ইতোমধ্যে অবৈধভাবে মাদক, অস্ত্র এবং ওয়াকিটকি রাখার অপরাধে ১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়ার পর মোহাম্মদ ইরফান সেলিম এবং তার দেহরক্ষী মো. জাহিদকে সোমবার রাতে কেরাণীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসামাত্রই কাউন্সিলর পদ থেকে বরখাস্তের আদেশ দেয়া হবে।গতকাল ২৬ অক্টোবর, সোমবার সন্ধ্যায় এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ইরফান মোহাম্মদ সেলিম বা যেকোনো কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অপরাধের কারণে আদালত কর্তৃক দণ্ড প্রদানের ঘটনা ঘটলে সেই বিষয়টি যদি সিটি করপোরেশন কর্তৃক লিখিত আকারে মন্ত্রণালয়ে আসে, তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর, রবিবার রাতে ধানমণ্ডির কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে মারধোরের এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, রাত ১০টার দিকে স্ত্রীকে নিয়ে ওই এলাকা দিয়ে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ। ‘সংসদ সদস্য’ স্টিকার লাগানো হাজী সেলিমের গাড়িটি তার বাইকে ধাক্কা দেয়।এসময় নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা মোটরসাইকেল থামিয়ে নিজের পরিচয় দেন এবং এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন। এসময় হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে তার দেহরক্ষীরা নেমে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফকে মারধোর করে। একপর্যায়ে মারধোরে যোগ দেন হাজী সেলিমের ছেলেও। ওই কর্মকর্তা আত্মরক্ষার চেষ্টা করলেও তার দাঁত ভেঙে যায়।এ বিষয়ে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণকৃত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে লেফটেন্যান্ট ওয়াসিকের মুখে রক্ত ও আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। ঘটনার সময় স্ত্রীর গায়েও হাত দেয়ার অভিযোগ করেন নৌবাহিনীর এই কর্মকর্তা।
পরবর্তীতে তিনি ধানমণ্ডি মডেল থানায় মারধোর ও হত্যার হুমকির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply