1. Aktarbd2@ichamotinews.com : ichamotinews : ichamotinews
  2. zakirhosan68@gmail.com : zakir hosan : zakir hosan
হারিয়ে যাচ্ছে কালের স্রোতে ঐতিহ্যবাহী গ্রামবাংলার ঢেঁকি - ইছামতী নিউজ
বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট নিউজ :
চলতি মাসেই আরেক দফা দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প -এর আওতায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে গ্রাম পুলিশদের নিয়ে ‘গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা বিষয়ক’ দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয় পাবনা আটঘরিয়ায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ শুরু শাকিবকে আমি বিয়ে করবো না -মিষ্টি জান্নাত মুখস্থ শিক্ষার পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আনা হচ্ছে -প্রধানমন্ত্র যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের “ঋণ ও আত্মকর্মসংস্থান কর্মসূচি পালন আটঘরিয়ায় বিশ্ব মা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বগুড়ার মহাস্থানগড় প্রেসক্লাবের আয়োজনে সাংবাদিক খলিলুর রহমানের রুহের মাগফিরাত কামনা বগুড়া শেরপুর উপজেলায় পালিত হলো, মা দিবস বাংলাদেশ বিশ্বকাপের জন্য কতটা প্রস্তুত

হারিয়ে যাচ্ছে কালের স্রোতে ঐতিহ্যবাহী গ্রামবাংলার ঢেঁকি

Reporter Name
  • Update Time : Monday, 1 March, 2021
  • ২৭৫ Time View

 

এম হামিদুর রহমান লিমন- রংপুর প্রতিনিধিঃ

হারিয়ে যাচ্ছে কালের স্রোতে ঐতিহ্যবাহী গ্রামবাংলার ঢেঁকি । ৯০ দশকেও প্রায় সব বাড়িতেই একসময় ঢেঁকি নামক যন্ত্র পাওয়া যেত। অগ্রাহায়ণ-পৌষ মাসে কৃষক ধান কাটার সঙ্গে কৃষানীদের ঘরে ঘরে ঢেঁকির শব্দ শোনা যেতো।কিন্তু কালের পরিবর্তনে ঢেঁকি এখন ইতিহাসের স্মৃতি। আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রামে ঢেঁকির আর ছন্দময় শব্দ শোনা যায় না। খুব কম বাড়িতে ঢেঁকি অাছে তাও অব্যাবহৃত।।

এক সময় নতুন ধান ঘরে উঠার পর চাল গুড়া করা, আটা দিয়ে পিঠা ফুলি, ফিন্নি, পায়েশ তৈরি করার ধুম পড়ে যেতো।এছাড়াও নবান্ন উৎসব, বিয়ে, ঈদ ও পুঁজায় ঢেঁকিতে চাল ভেঙ্গে গুড়া বা আটা তৈরির সময় গ্রামের বধুরা গান গাইতেন। চারিদিকে পড়ে যেতো হৈঁ-চৈঁ। এক সময় আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি গ্রামীণ জনপদে চাল ও চালের গুড়া বা আটা তৈরির একমাত্র মাধ্যম ছিল। গ্রাম বাংলার বধুরা কাজ করতো আর গভীর রাত থেকে ভোর সকাল পর্যন্ত ধান বানতো। এখন ঢেঁকির সেই ধুপধাপ শব্দ আর শোনা যায় না।

এখন ঢেঁকির ব্যবহার নাই বললেই চলে। ঢেঁকি ছাটা চালের ভাত যে কি সুসাধু পুষ্টিকর ছিল তা এখন অনুধাবন করা যাচ্ছে কিন্তু তা এখন পাওয়া দুঃসাধ্য। প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে ঢেঁকির ব্যবহার কমেছে। তবুও গ্রামের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে কেউ কেউ সখের বেশে বাড়ীতে ঢেঁকি রাখলেও এর ব্যবহার করে না।এক সময় গ্রামীণ কৃষকেরা দারিদ্র নারীদের মুজুরী দিয়ে ঢেঁকিতে চাল ও আটা ভাঙ্গিয়ে নিতো। এভাবেই চলতো অনেক গরীব অসহায় মানুষের সংসার।

নুর হোসেন (৭৫) জানান, ঢেঁকি শিল্প হলেও গ্রামীণ জনপদে এ শিল্পকে সংরক্ষণের কোন উদ্যোগ নেই।এক সময় ঢেঁকির বেশ কদর ছিল।যখন মানুষ ঢেঁকিতে ধান ও চাল ভেঙ্গে জীবিকা নির্বাহ করতো।তেল-বিদ্যুৎ চালিত বিভিন্ন মেশিন দিয়ে গ্রামগঞ্জে গিয়ে ধান ভাঙ্গার কারণে ঢেঁকি আজ বিলুপ্ত প্রায়। তারা আরো বলেন, আধুনিক যন্ত্র বা মেসিনের কারণ ঢেঁকি হারিয়ে গেছে। কারণ ঢেঁকিতে ধান বানতে, আটা ও চালের গুড়া করতে কষ্ট হয় সময় লাগে আবার পরিশ্রম বেশী। তাই সবাই ঢেঁকি ব্যাবহার না করে মেসিনে গিয়েই কম সময়ের বিনা কষ্টে ধান বানা। চালের গুড়া আবার চাল খেকে আটা বানার কারণেই ঢেঁকি এখন বিলিন। বর্তমানের সন্তানেরা ঢেঁকি কি জিনিস সেটা চিনবেইনা বলে দাবি করেন তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *