প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দ্রুত টিকা পেতে বিশ্বব্যাংক ও এডিবির সঙ্গে দুটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এছাড়াও সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে টিকার চালান নিয়ে যোগাযোগ চলছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার বাইরেও চীন-রাশিয়াসহ অন্যান্য দেশের টিকা পেতে সরকার নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছে।বুধবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরে এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির অতিরিক্তি মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা এসব তথ্য জানান।তিনি বলেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ছাড়াও অন্যান্য উৎস থেকে সরকার টিকার জন্য খোঁজ নিচ্ছে। বিশেষ করে চীন-রাশিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। আশাকরি খুব শিগগিরই আমরা পাব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স থেকে দেশের ২০ শতাংশ জনগণকে টিকা দেওয়ার কথা রয়েছে, যেকোনো সময়ই সে টিকাগুলো আমরা পেয়ে যাব।সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, সরকার দ্রুত টিকা পেতে দুটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। একটি হলো ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সঙ্গে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি এবং অন্যটি এডিবির (এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক) সঙ্গে ৯৪০ মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি। যেগুলো দ্রুত টিকা পেতে আমাদের সহযোগিতা করবে।তিনি আরও বলেন, দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যদি টিকা তৈরি করতে চায়, তাহলে সরকার তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি কোম্পানির কারখানা পরিদর্শন করেছেন। তারাও টিকা তৈরির ব্যাপারে দ্রুতগতিতে অগ্রসর হচ্ছে। আশাকরি টিকা নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না।এসময় আরও উপস্থিতি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা, নন-কমিউনিকেবল ডিজিজের (এনসিডিসি) পরিচালক ও মিডিয়া সেলের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিন, অধিদফতরের মুখপাত্র ও রোগতত্ত্ব বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম, অধিদপ্তরের পরিচালক (টিকাদান) ডা. শামসুল হক প্রমুখ।
Leave a Reply