মোঃ জুয়েল মিয়া, স্টাফ রিপোর্টার (কক্সবাজার): লকডাউন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার আগামীকাল সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত সীমিত পরিসরে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হবে। আগামী ১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত সাত দিন পূর্ণাঙ্গ লকডাউনে থাকবে গোটা দেশ। গতকাল শনিবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে এক ভার্চ্যুয়াল সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন। বৈঠক শেষে সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার লকডাউন নিয়ে সরকারের নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, সোমবার থেকে লকডাউন শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে যান চলাচল বন্ধ হবে। আর ১ জুলাই থেকে পূর্ণাঙ্গ লকডাউন শুরু হয়ে চলবে সাত দিন। তিনি জানান, রোববার (আজ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। খবর বাংলানিউজের। সরকারি সূত্র বলছে, আর্থিক বছর শেষ হওয়ার মুহূর্তকে বিবেচনা করে সরকার ৩০ জুন পর্যন্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ হিসাব সংশ্লিষ্ট অফিস খোলা রাখতে চায়। সেজন্য পূর্ণাঙ্গ বা কঠোর লকডাউন পেছানো হয়। এর আগে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, জুন ক্লোজিংয়ের কারণে কিছু অফিস খোলা রাখা হবে। তবে শেষ পর্যন্ত সীমিত পরিসরে তিন দিন লকডাউন বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত এসেছে। সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কোভিড-১ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ও জনগণের জীবনের ক্ষতি রোধ করার জন্য সারা দেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ ‘শাটডাউন’ দেওয়ার সুপারিশ করছি। সেই সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে আগামী সোমবার থেকেই কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয় শুক্রবার। সেদিন তথ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধকল্পে সোমবার থেকে পরবর্তী সাত দিন সারা দেশে কঠোর লকডাউন পালন করা হবে। এ সময় জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী ছাড়া সব প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন শুধু চলাচল করতে পারবে। জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না। গণমাধ্যম এর আওতা বহির্ভূত থাকবে। এবারের লকডাউনের মধ্যে জরুরি কারণ ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে যেতে পারবে না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, মানুষ যাতে বিধিনিষেধ মানে, সেজন্য কাজ করবে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী। এদিকে কঠোর লকডাউনের খবরে গতকাল দিনভর অনেককে ঢাকা ছাড়তে দেখা যায়। পদ্মা নদী পাড়ি দিতে শিমুলিয়া ঘাটে ছিল অগুণিত মানুষের ভিড়। অন্যান্য রুটেও গাদাগাদি করে বিভিন্ন পরিবহনে করে গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন মানুষ।
Leave a Reply