মোঃ আকতারুল ইসলাম আক্তার,স্টাফ রিপোর্টার(ঠাকুরগাঁও): করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন কর্তৃক ঠাকুরগাঁও জেলায় সাত দিনের লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। (২৭ জুন) রবিবার লকডাউন এর চতুর্থ দিনে উপজেলা প্রশাসনের যথেষ্ট তৎপরতা দেখা গেলেও। জনসাধারণের মাঝে তেমন কোনো সচেতনতা লক্ষ্য করা যায়নি। এমন দৃশ্য দেখা গেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে। জেলা-উপজেলায় প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করলে মহামারির আকার ধারণ করবে এবং বাড়বে সংক্রমণ এমন ধারণা সচেতন মহলের। প্রশাসন কঠোর অবস্থানে গেলেও মানুষ তা মানতে নারাজ। ফাঁক পেলেই স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ছে সকল মানুষ। উপজেলার বৃহত্তর বাজার নেকমরদ বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করতেও লক্ষ্য করা গেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কালীন সময়ে নেকমরদ বাজারের সাতটি দোকানে অভিযান চালিয়ে ১০,৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এমন তথ্য পাওয়া গেছে উপজেলা সহকারি কর্মকর্তা (ভূমি) ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা প্রীতম সাহার বরাত দিয়ে। সহকারি কর্মকর্তা (ভূমি) ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত ইউএনও প্রীতম সাহা বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে উপজেলায় সর্বত্র প্রশাসনের তৎপরতা চলছে। গত বুধবার উপজেলার সবখানেই মাইকিং করে করোনারোধে স্বাস্থ্যবিধি পালন ও লকডাউন বাস্তবায়নের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিদিন মাইকের সচেতনতার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তারপরও স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে সবাই যেনো উদাসীন। এক এলাকায় অভিযান চললে অন্য এলাকায় নিয়ম ভাঙার চেষ্টা করছে মানুষ। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। উল্লেখ্য যে,হঠাৎ করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বৃহস্পতিবার ২৪ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও জেলার সকল উপজেলায় এই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে লকডাউন ঘোষণা দেয় জেলা প্রশাসন।
Leave a Reply