শাহেদ আহমদ,স্টাফ রিপোর্টার,সিলেটঃ
জগন্নাথপুরে নিবন্ধন করেও করোনাভাইরাসের টিকা নিতে পারছেন না প্রায় হাজার ব্যক্তি। অতিরিক্ত রেজিস্ট্রেশনের কারণে সার্ভারে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় টিকার অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে তাদের।
ইন্টারনেটের সহায়তায় ‘সুরক্ষা অ্যাপ’-এর মাধ্যমে করোনাভাইরাসের টিকার জন্য নিবন্ধন করতে হয়। নিবন্ধন শেষে ব্যক্তির মোবাইল ফোনে খুদে বার্তা আসার পর স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা গ্রহণ করতে পারেন নিবন্ধনকারী। ৭ আগস্ট থেকে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হলে টিকাদানে তীব্র আগ্রহ দেখা দেয় লোকজনের মধ্যে। ফলে অতিরিক্ত নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয় উপজেলাজুড়ে। এতে সার্ভারে জটিলতা দেখা দেয়। এ জন্য টিকাদানের নির্দিষ্ট তারিখের মেসেজ পাচ্ছেন না নিবন্ধনকারীরা।
জগন্নাথপুর পৌর শহরের ইকড়ছই আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ফজলুর রহমান জানান, আট দিন আগে তিনি নিবন্ধন করেছেন। কিন্তু এখনও টিকাদানের মেসেজ পাননি। ফলে টিকা দিতে পারছেন না।
আরেক নিবন্ধনকারী উপজেলার নারিকেলতলা গ্রামের আলতাফুর রহমান বলেন, নিবন্ধনের পর গত ১৫ দিনেও আমি মেসেজ পাইনি। প্রথমে শুনেছিলাম নিবন্ধনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মোবাইলে মেসেজ আসবে।
ভ্যাকসিন কার্যক্রমের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা ডা. নাজমুল শাহাদাত জানান, অতিরিক্ত নিবন্ধনের কারণে ২৬ হাজার নিবন্ধনকারী টিকা নিতে পারছেন না। প্রতিদিন এক থেকে দুই হাজার নিবন্ধন হচ্ছে জগন্নাথপুরে, যা চাহিদার তুলনায় বেশি। জগন্নাথপুরে সিনোফার্মের টিকা দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৪ হাজার ৮০ জন। অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজ নিয়েছেন তিন হাজার ৯৯৮ জন। আর প্রথম ডোজ নিয়েছেন চার হাজার ৫২৩ জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মধুসূদন ধর জানান, সার্ভার জটিলতায় নিবন্ধনকারীরা টিকা দিতে পারছেন না। শিগগির সমস্যা এ সমাধান হবে।
Leave a Reply