নিউজডেস্ক | ইছামতী নিউজ.কম
চালের বস্তায় ধানের জাতের নাম লেখার বাধ্যবাধকতা রেখে একটি নীতিমালা তৈরি করতে যাচ্ছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
এসময় উপস্থিত থাকা খাদ্যসচিব মোছাম্মৎ নাজমানার খানম বলেন, আমরা একটি গবেষণা করেছি, সেখানে আমরা পেয়েছি ধান কেটে যে চালই উৎপাদন করা হচ্ছে তার নাম দেয়া হচ্ছে মিনিকেট। এ কারণে আমরা একটি ছাঁটাই নীতিমালা করছি। তিনি আরও বলেন, সাধারণভাবে ধানের সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ ছাঁটাই করা যায়, কিন্তু দেখা যাচ্ছে ৩০ ভাগ পর্যন্ত ছাঁটাই করে মিনিকেট নাম দিয়ে বাজারে ছাড়া হচ্ছে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি না থাকলেও পুষ্টিঝুঁকি আছে।
খাদ্যসচিব বলেন, এ কারণে আমরা চেষ্টা করছি, চালের ব্র্যান্ড নাম যাই হোক বস্তার গায়ে অবশ্যই ধানের নাম লিখতে হবে।
এসময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিনিকেট নামে ধান নেই। যে সরু চাল খাওয়া হচ্ছে তার মধ্যে জিরাশাইল ও শম্পা কাটারিই বেশি। এমনকি নাজিরশাইল নামেও কোনো ধান নেই। ব্র্যান্ড তারা মিনিকেট বলে চালাচ্ছে। ২৮-কেও মিনিকেট বলে চালায়, ২৯-কেও মিনিকেট বলে চালায়, আর আমরাও (জনগণ) মিনিকেটই খুঁজি।
এ সময় সবাইকে সাদা স্বচ্ছ চালের পরিবর্তে লাল চাল খাওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে গত ২১ নভেম্বর পুষ্টিগুণ নষ্ট করে বিভিন্ন অটোরাইস মিলে চাল কেটে বাজারজাত এবং বিক্রি বন্ধ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট।
আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন: www.facebook.com/ichamotinews.it/
Leave a Reply