1. Aktarbd2@ichamotinews.com : ichamotinews : ichamotinews
  2. zakirhosan68@gmail.com : zakir hosan : zakir hosan
তিস্তা বুকে শতাধিক চর - ইছামতী নিউজ
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন

তিস্তা বুকে শতাধিক চর

ইছামতী নিউজ
  • Update Time : Monday, 6 December, 2021
  • ৩৭৩ Time View

নুরুজ্জামান সরকার | জেলা প্রতিনিধি | নীলফামরী

শুস্ক মৌসুমের শুরুতেই মরে গেছে তিস্তা নদী। নদীর বুকে এখন জেগে উঠেছে প্রায় শতাধিক বিশাল বিশাল চর। তিস্তার বুকে জেগে উঠা বালুচর চলছে কৃষিকাজ। তিস্তা পানি শূন্য হয়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যে জীবনবৈচিত্র হারিয়ে গেছে।উত্তরাঞ্চলের আর্ন্তজাতিক ও প্রধান নদী তিস্তা এখন মরুভূমিতে পরিণিত হয়ে গেছে। স্রোত না থাকায় নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। ভারতের একতরফা পানি নিয়ন্ত্রণের ফলে তিস্তা সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে আবাদী জমি গুলো এখন পরিনিত হয়েছে অনাবাদিতে। হতাশার প্রহর পার করছে এই প্রকল্পের আওয়াতায় থাকা কৃষকরা। জানা গেছে, ভারতের গোজল ডোবায় ব্যারেজ নির্মাণ করে একতরফা পানি নিয়ন্ত্রণ করছে। যা তারা আসাম, পশ্চিম বঙ্গ, বিহার, উত্তর প্রদেশ, কলকাতাসহ বিভিন্ন প্রদেশে নিয়ে যাচ্ছে। সে কারণে বাংলাদেশ এখন পানি শূন্য হয়ে পরেছে।

সেই ফলে তিস্তার বুকে এখন বিশাল বিশাল প্রায় শতাধিক চর ভেসে উঠেছে। বালুচরে সবুজের মাঠে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। আলু, ভুট্টা, কাঁচা মরিচ, বাদাম, পেঁয়াজ, রসুন ,মসুর ডাল, মিষ্টি কুমড়া ও তরমুজসহ বিভিন্ন ফসল বুনেছেন তারা। পাউবো সুত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প হলো তিস্তা সেচ প্রকল্প। তিস্তা সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের উত্তরাঞ্চলের নীলফামারী, বৃহত্তর দিনাজপুর ও রংপুর জেলার ৫ লক্ষ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা গ্রহন করে। সরেজমিনে দেখা যায়, তিস্তার চরে কৃষক পরিবার ভুট্টা, পেঁয়াজ, আলু, রসুন মিষ্টি কুমড়াসহ নানা ধরনের ফসল ফলাচ্ছে। নদীতে নৌকা চালিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা জেলেরা হয়ে পরেছে বেকার।

পানি না থাকায় পুরো তিস্তা এখন মরুভ‚মিতে পরিণিত হয়েছে। নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে, তিস্তা , চিকলী, বুড়িতিস্তা, ইছামতি, যমুনেশ্বরী, ধুম, কুমলাই, চাড়ালকাটা, সর্বমঙ্গলা, সালকী, দেওনাই সহ অনকে নদী এখন মরুভ‚মিতে পরিণিত হয়েছে। প্রতি বর্ষা মৌসুমে ভারতের উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামে এই নদী গুলোতে। ফলে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। প্রতি বছর তলদেশ ভরাট হওয়ায় নদীর নাব্যতা হ্রাস পেয়েছে।যেখানে ১৫/১৭ কিউসেক পানি প্রয়োজন সেখানে বর্তমানে পানি ৬/৮ কিউসেক পানি।এর ফলে তিস্তা ব্যারেজের বাকি ৪৪ টি জলকপাট বন্ধ রাখা হয়েছে। এই পানি দিয়ে খরিপ-১ ও ২ মৌসুমের সেচ দেওয়া হচ্ছে। আমরা পানি ধরে রাখার চেষ্টা করতেছি পানি কম আশায় অনেকটাই সংকটে আছি।নদী গুকিয়ে যাওয়ায় তিস্তা নদীতে থাকা মাছসহ প্রায় ৪০-৫০ রকমের জলজ প্রাণি হারিয়ে গেছে।

আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন: www.facebook.com/ichamotinews.it/

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *