পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় ভূট্রা চাষে অধিক লাভের আশায় উৎসাহী কৃষকরা হচ্ছেন লাভবান।
উপজেলার বিভিন্ন বসত বাড়ির পাশে, পতিত ও তিন ফসলি জমিতে চলতি মৌসুমে ভুট্টা চাষে ব্যাপক সফলতা এনেছে। গত বছর বাজার দাম ভালো পাওয়ায় চাষীরা এবার খূট্রা চাষে কৃষকের মুখে হাঁসি। এবছর আটঘরিয়ায় ২০২ হেক্টর জমিতে ভূট্রা চাষ করা হয়েছে। কর্তন করা হয়েছে ৬৫ হেক্টর। বিঘা প্রতি ফল হয়েছে ৩৫-৪০ মন।
স্থানীয় চাষিরা জানান, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকাতে ও মাঠে বছরের পর বছর পতিত থাকে। এসব পতিত জমিতে তেমন কোন ফসল চাষ করা যায়না। তবে ওই সব জমিতে ভুট্টা চাষের উজ্জ্বল সম্ভবনা থাকায় চলতি মৌসুমে তারা (চাষি) চাষাবাদে আগ্রহী হয়ে পড়েন। সেই সাথে বাড়ির পাশে ফসল কম হওয়া বা পতিত জমিতে ভুট্টা চাষ করছেন অনেকেই।
উপজেলা কৃষি সম্পসারণ অফিস সুত্রে জানা যায়, আটঘরিয়া উপজেলার সবকয়টি ইউনিয়নেই চলতি মৌসুমে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে। জাত বেধে প্রতিটি গাছে ১-২টি করে ভুট্টার কলা ধরেছে। চাষীরা গড়ে প্রতি মণ (৪০কেজি) ভুট্টা ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রয় করেন। এলাকার কিছু কিছু চাষি এককভাবে ৩-৫ বিঘা পর্যন্ত জমিতে ভুটা চাষ করেছেন।
আটঘরিয়া পৌর সভার বিশ্রামপুর গ্রামের দুলাল মৃর্ধা, শফিকুল ইসলাম, সোহের রানা, বাচ্চু সহ অনেকে কৃষক জানান, কৃষি কাজে নিজেদের নিয়োজিত রেখেছি এ বছর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় ভুট্টা চাষ ও কাটা মাড়াইয়ে মোট খরচ হবে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকা।
প্রতি বিঘা জমি থেকে (ফলন ভাল হলে) ভুট্টা পাওয়া যাবে ৩৫-৪০ মণ পযর্ন্ত। বাজার গুলোতে প্রতি মণ ভুট্টা ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা দরে বিক্রয় হয়ে থাকে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ভুট্টার বাম্পার ফলন হবে। সেই সাথে বাজারে দাম ও চাহিদা বেশি থাকায় এবার চাষিরা লাভবান হবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সজীব আল মারুফ জানান, ভুট্টা চাষে আমাদের পরামর্শ ও যাবতীয় কারিগরি সহযোগিতা এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চরের চাষীদের মুখে হাসি দেখা দিবে। এবছর ২০২ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে, কর্তন করা হয়েছে ৬৫ হেক্টর জমিতে এবং ১৫০ কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রণোদনার আওতায় প্রতি কৃষককে ভুট্টা বীজ, ডিএপি,এমওপি সার দেওয়া হয়েছে।
আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন: www.fb.me/bd.ichamotinews
Leave a Reply