ক্ষমতা গ্রহণের ৪৫ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস।
বৃহস্পতিবার (২০শে অক্টোবর) ডাউনিং স্ট্রিট থেকে দেওয়া ভাষণে ট্রাস বলেন, তিনি কনজারভেটিভ পার্টির নেতার পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসকে জানিয়েছেন। খবর বিবিসি।
লিজ ট্রাসের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যে নতুন এক ইতিহাস সৃষ্টি হলো। দেশটিতে সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের এ ঘটনা ঘটল। এর আগে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সময় ধরে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদে ছিলেন জর্জ ক্যানিং। তিনি মাত্র ১১৯ দিন প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকে ১৮২৭ সালে মারা যান।
এদিকে যুক্তরাজ্যের চ্যাঞ্জেলর জেরেমি হান্ট জানিয়েছেন লিজ ট্রাস পরবর্তীতে আর কনজারভেটির পার্টির নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। তবে তিনি এর কারণ ব্যাখ্যা করেননি। গত ৫ই সেপ্টেম্বর রিষি সুনাককে হারিয়ে লিজ ট্রাস কনজারভেটিভ পার্টি থেকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এরপর ৮ সেপ্টেম্বর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা যান। এর মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ রানির দীর্ঘ ৭০ বছর ক্ষমতায় থাকার ইতি ঘটে।
২৩শে সেপ্টেম্বর ট্যাক্স ছাড়া দিয়ে ৪৫ বিলিয়ন ডলারের মিনি বাজেট ঘোষণা দেওয়ার পরই দেশটির রাজনীতিতে নতুন এক সংকট সৃষ্টি হয়। এরপ ২৬ অক্টোবর থেকে দেশটিতে ক্রমাগতভাবে ডলারের বিপরীতে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য কমতে থাকে।
৩রা অক্টোবর সাবেক অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ারতেং কে নিয়ে লিজ ট্রাস করের উপর ব্যাপক পরিবর্তন আনেন। পরবর্তীতে নিজ দলের নেতাকর্মীদের সমালোচনার মুখে কোয়াসি কোয়ারতেংকে বরখাস্ত করেন তিনি। এতে আরও চাপে পড়েন লিজ ট্রাস। আহবান জানানো হয় পদত্যাগেরও। শেষ পর্যন্ত অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে না পেলে আজ ২০ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।
পদত্যাগকারী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি ১৯২২ কমিটি চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডলির সঙ্গে আজ দেখা করেছেন। আগামী সপ্তাহের মধ্যে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের বিষয়ে সম্মত হয়েছেন তারা। ট্রাস জানিয়েছেন, উত্তরসূরী নির্বাচিত হওয়ার আগপর্যন্ত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
Leave a Reply