আমের গাছগুলোতে গুটি দেখা যাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমের উৎপাদন ভালো হবে। এই জেলা আমের জন্য বিখ্যাত না। তবে স্থানীয় জাতের নাক ফজলী, গোপালভোগ আম অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
শুক্রবার (২৪শে মার্চ) বিশেষ সূত্রে জানা যায়, জয়পুরহাটে এ বছর চাষিরা ৭৭৬ হেক্টর জমিতে আমের চাষ করেছেন। এখান থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ হাজার মেট্রিক টন। এছাড়া বে-সরকারি ভাবে ৫ শতাধিক আমের বাগানও রয়েছে। তবে স্থানীয় জাতের মধ্যে নাকফজলী, সুবর্ণরেখা, সুরমাফজলী, ক্ষিরশাপাত, আশ্বিনা, গোপালভোগ, নেংড়া আম বেশ জনপ্রিয়।
চাষিরা বলেন, এ জেলায় নাকফজলি জাতের আমের অনেক চাহিদা রয়েছে। এই আম সাধারণত কিছুটা লম্বাটে আকৃতির হয় এবং বিচি থাকে ছোট। খেতে অনেক সুস্বাদু। এই আম উঠার সাথে সাথে বিক্রি হয়ে যায়। এ বছর আম চাষ করে লাভবান হতে পারবো বলে আশা করছি।
জয়পুরহাটের কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন ফোন আলাপে বলেন, এ জেলায় অনেক জাতের আম উৎপাদন হয়। তার মধ্যে নাকফজলি ছাড়াও গোপালভোগ আমের সঙ্গে নেঙ্গড়া আমের চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গাছ গুলোতে ব্যাপক হারে আমের গুটি আসছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমের বাম্পার ফলনের আশা করছি। এছাড়া আমরা কৃষকদের সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছি।
Leave a Reply