হাঁপানি বা অ্যাজমা রোগে আক্রান্তদের রোজা রাখা অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ, হাঁপানি রোগীদের ব্যবহার করতে হয় ইনহেলার। তবে কিছু রোগ আছে কষ্টদায়ক হলেও একটু সতর্ক থাকলে রোজা রাখা সম্ভব। যেমন শ্বাসকষ্টের রোগীদের রোজা রেখে ইনহেলার ব্যবহার করা জায়েজ কি না এ বিষয়ে অনেকেই দ্বিধা-সংশয়ে ভোগেন। আর এ দ্বিধায় অনেকেই রোজা রাখতেও পারেন না। অনেকে এটা নিয়ে টেনশনে থাকেন যে, রোজায় কীভাবে ইনহেলার ব্যবহার করবেন।
শ্বাসকষ্ট দূর করার জন্য মুখের ভেতরে ইনহেলার স্প্রে করতে হয়। ওষুধটি যদিও স্প্রে করার সময় গ্যাসের মতো দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে তা দেহবিশিষ্ট তরল ওষুধ। অতএব তরল ওষুধ মুখের ভেতর স্প্রে করার দ্বারা রোজা ভেঙে যাবে।
তবে মুখে স্প্রে করার পর না গিলে যদি থুতু ফেলে দেওয়া হয়, তা হলে রোজা ভঙ্গ হবে না। এভাবে কাজ চললে বিষয়টি অতি সহজ হয়ে যাবে। এতে শ্বাসকষ্ট থেকে রেহাই পাওয়ার পাশাপাশি রোজা ভঙ্গ হবে না।
বিশ্বের অনেক মুসলিম স্কলার এ বিষয়ে এক সভায় একমত হয়েছেন যে, যদি দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের অবস্থা যেমন-অ্যাজমা ও সিওপিডি সমস্যা থাকে এবং সে যখন রোজা রাখে তখন ইনহেলার আকারে নেওয়া অ্যাজমা ও সিওপিডি ওষুধগুলো রোজা ভঙ্গ করে না।
Leave a Reply