1. Aktarbd2@ichamotinews.com : ichamotinews : ichamotinews
  2. zakirhosan68@gmail.com : zakir hosan : zakir hosan
পাবনায় অপহরণ ও হত্যার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা - ইছামতী নিউজ
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১১:৩১ অপরাহ্ন
আপডেট নিউজ :
বগুড়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম হালিতে বেড়েছে আট টাকা সদরের মথুরা পশ্চিমপাড়া আল মদিনা জমে মসজিদের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন কাজের উদ্বোধন শিল্পী সমিতির সদস্যপদ ফিরে পেলেন জায়েদ, বাদ হতে পারে নিপুণের আবার হিট অ্যালার্ট জারি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে গ্রাম পুলিশদের – গ্রাম আদালত বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত বগুড়ায় বন্ধুর হাতে প্রাণ গেল বন্ধু তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে করনীয় চলতি মাসেই আরেক দফা দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প -এর আওতায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে গ্রাম পুলিশদের নিয়ে ‘গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা বিষয়ক’ দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয় পাবনা আটঘরিয়ায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ শুরু

পাবনায় অপহরণ ও হত্যার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন, ২৫ হাজার টাকা জরিমানা

মাসুদ রানা | আটঘরিয়া প্রতিনিধি | পাবনা
  • Update Time : Tuesday, 4 April, 2023
  • ১৩৬ Time View

বিদেশে নেওয়ার কথা বলে পাবনার বেড়া থেকে কৌশলে ঝিনাইদহে নিয়ে অপহরণ ও হত্যার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৪ই এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার বিশেষ জজ আদালতের (জেলা জজ) বিচারক আহসান তারেক এই রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার লঘু নন্দনপুর গ্রামের নুরু জোয়ার্দারের ছেলে সবুজ ওরফে দাদা ভাই ওরফে বকুল, কুষ্টিয়া জেলার খোকশা থানার বনগ্রাম পূর্বপাড়া গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে আবুল কালাম, নিহাল বিশ্বাসের ছেলে আজাদ এবং একই এলাকার খলিল।

রায় ঘোষণার সময় আজাদ ও আবুল কালাম উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহ থেকে পাবনার বেড়া উপজেলার রামনারায়পুরের রশিদ সিকদারের বাড়িতে দিনমজুরের কাজে এসে সম্পর্ক তৈরি করেন সবুজ। সম্পর্কের এক পর্যায়ে ২০০৯ সালের ১৪ জুলাই রশিদকে বিদেশে নেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে যান সবুজ।

পরের দিন রশিদের বাড়ির লোকজন তার খোঁজ নিলে সবুজ তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরে এবিষয়ে বেড়া থানায় একটি অভিযোগ দেন রশিদের শ্যালক বাহের মণ্ডল। অভিযোগের সূত্রে ধরে সবুজকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে স্বীকার করেন যে, মুক্তিপণের টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে হত্যা করে লাশ পদ্মানদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

তবে পুলিশ লাশ উদ্ধার করতে না পারায় আসামিদের বিরুদ্ধে শুধু অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১১ জানুয়ারি ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ১১ জনের স্বাক্ষী শেষে আজকে রায় ঘোষণা করা হলো। আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তৌফিক ইমাম খান ও মকিবুল আলম বাবলা এবং রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক।

রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক বলেন, যেহেতু লাশ উদ্ধার হয়নি এজন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী অপহরণ মামলায় বিচার হয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিয়মান হয়েছে।

তবে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আসামিদের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তৌফিক ইমাম খান। তিনি বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে আমার মক্কেল ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *