বগুড়া জেলা জাসদের সভাপতি ও বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনের সংসদ সদস্য একেএম রেজাউল করিম তানসেন বলেছেন, দেশের প্রথম সামরিক সরকার জিয়াউর রহমানের সামরিক আদালত ১৯৭৬ সালের এই দিন কর্ণেল তাহেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে। শহীদ কর্নেল আবু তাহের ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার, পরবর্তীকালে ১৯৭২ সালে গঠিত জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এবং ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক মহান সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থানের নায়ক।
শুক্রবার (২১ জুলাই) বিকেলে শহরের সাতমাথাস্থ দলীয় কার্যালয়ে মহান বিপ্লবী শহীদ কর্ণেল তাহেরের ৪৭তম হত্যা বার্ষিকী উপলক্ষে বগুড়া জেলা জাসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন বলেন, কর্নেল তাহের যেমন মুক্তিযুদ্ধে জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছিলেন, ঠিক তেমনি পচাত্তরের ৭ই নভেম্বর জাতির সংকটকালে সিপাহী- জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গনবিরোধী রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিবর্তনের বিপ্লবী প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। জাসদ আজও সেই লক্ষ্যেই রাজনীতি করছে। সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গীবাদ, কুশাসনের বিরুদ্ধে ছিল তাঁর প্রতিবাদ এবং নতুন সমাজ নির্মানে সত্য প্রতিষ্টাই ছিল তাঁর জীবনপন।
তিনি আরো বলেন, একটি মহল আবারও রাজপথে নেমেছে জ্বালাও পোড়াও করতে। আন্দোলনের নামে তারা পুলিশের উপর হামলা, ককটেল বাজি, ভাংচুর অগ্নি সংযোগের পথ বেছে নিয়েছে। তারা সংবিধানের বাহিরে গিয়ে বাতিল হয়ে যাওয়া নির্বাচনি ফরমুলায় ফিরে যাবার চেষ্টা করছে। এই অগ্নি সন্ত্রাসীদেরকে প্রতিহত করতে হবে। তিনি কর্ণেল তাহেরের আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে সবাইকে জাসদের পতাকাতলে আসার আহবান জানান।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সদস্য এ্যাড. ইমদাদুল হক ইমদাদ, সহ সভাপতি হেলাল উদ্দিন আঙ্গুর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন বাবু, জাসদ নেতা, জোবায়ের হোসেন মোল্লা, প্রভাষক রফিকুল ইসলাম ভান্ডারী, হারুনার রশিদ, আল আমিন, ওবায়দুল হক, রায়হান, মাহবুব, আকরাম, ফিরোজ, বাছেদ প্রমূখ।
আলোচনা সভার পূর্বে দলীয় কার্যালয়ে কর্ণেল তাহেরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও পরে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
Leave a Reply