বগুড়ায় ১১ বছর বয়সী শিশু ছাত্রকে বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগে আবুল হাসান (২৬) নামের শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ২টার দিকে সদর উপজেলার শেখেরকোলা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আবুল হাসান তেলিহারা দক্ষিণপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার সহকারী আরবি শিক্ষক ও গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বাজিদনগর চরপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানা পুলিশের এসআই ইমতিয়াজ আহমেদ।
স্থানীয়রা জানায়, ভূক্তভোগী ওই শিশু গত দেড় বছর যাবৎ তেলিহারা দক্ষিণপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার মক্তব বিভাগে অধ্যয়নরত। মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে শিক্ষক আবুল হাসান বাবু ওই ছাত্রকে বলাৎকারের চেষ্টা করেন। তবে ছাত্র জেগে যাওয়ায় ও চিৎকার করলে অন্যারা টের পাবে ভেবে আবুল হাসান পালিয়ে যান। বিষয়টি ২দিন ধামাচামা থাকলেও শনিবার সকালে ওই ছাত্র পালিয়ে বাড়ি গিয়ে পরিবারকে জানায়। ঘটনাটি জানাজানি হলে আজ সকালে স্থানীয় লোকজন ওই শিক্ষককে গণধোলাই দেয় এলাকাবসী। এক পর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা হাকিম মন্ডল গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে অভিযুক্ত শিক্ষককে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন এবং বগুড়া সদর থানা পুলিশকে জানান।
এ ঘটনায় শনিবার বগুড়া সদর থানায় ওই শিশু ছাত্রের পরিবার মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল হাসানের বিরুদ্ধে বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়।
তেলিহারা দক্ষিণপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও লিল্লাহ্ বোডিংয়ের মুহতামিম বজলুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিনের সুনাম ধরে রাখা এই প্রতিষ্ঠানে যোগদানের মাত্র আড়াই মাসেই শিক্ষক নামধারী এই ব্যক্তির অপকর্ম লজ্জাজনক। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হলে এরকম অপকর্মকারীরা আর সাহস পাবে না।
এদিকে এই ঘটনা প্রকাশের সাথে সাথে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সম্প্রতি এরকম অপকর্মের আরও অভিযোগ তুলছেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তুলনামূলক কম বয়সী শিশুদের সাথে অভিযুক্ত শিক্ষক এর আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানায় তারা।
Leave a Reply