প্রচুর প্রোটিন সমৃদ্ধ সবজি শিম। শিমের বীজও সেদ্ধ করে খাওয়া হয়।এটি লতানো উদ্ভিদ হওয়ায় ফসলি জমি ছাড়াও রাস্তার ধারে, আইলে, ঘরের চালে ফলানো যায়। দেশে পঞ্চাশটিরও বেশি স্থানীয় শিমের জাত আছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বাইনতারা, হাতিকান, চ্যাপ্টাশিম, ধলা শিম, পুটিশিম, ঘৃত কাঞ্চন, সীতাকুন্ডু, নলডক ইত্যাদি। বারি শিম ১, বারি শিম ২, বিইউ শিম ৩, ইপসা শিম ১, ইপসা শিম ২, একস্ট্রা আর্লি, আইরেট ইত্যাদি আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাত।শিম চাষে সফলতার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত মাটি আর উচ্চ ফলনশীল জাত নির্বাচন।আসুন জেনে নেয়া যাক যে পদ্ধতিতে শিম চাষে মিলবে শতভাগ সফলতা ।
উপমাটি ও জলবায়ু: দোআঁশ, এটেল দোআঁশ ও বেলে মাটিতে শিম চাষ করা যায়। তবে দোআঁশ মাটিতেই এর উৎপাদন ভাল হয়। শিম ঠান্ডা ও শুষ্ক আবহওয়ায় ভাল ফলন দিয়ে থাকে।
বপনের সময়: আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাস (মধ্য জুন থেকে মধ্য সেপ্টেম্বর)।
বীজ বপন পদ্ধতি: বসত বাগানে ৯০ সেমি চওড়া ও ২৫ সেমি গভীর করে ২-৩ মাদা তৈরি করতে হয়। মাদা প্রতি ৪-৫টি বীজ বুনতে হবে। মাঠে চাষের জন্য ২মিটার চওড়া বেড তৈরি করে ২-৩ মিটার দূরত্ব একই ভাবে মাদায় বীজ বুনতে হবে। চারা গজালে মাদা প্রতি ১-২ টি সবল চারা রেখে বাকি চারা তুলে ফেলতে হবে।
আরোও পড়ুন: শিমের শোষক পোকা ও মাইটের আক্রমণের প্রতিকার
খুব সহজ পদ্ধতিতে শিম উৎপাদন প্রযুক্তি
শিম চাষ করুন টবের মাধ্যমে বাড়ির চিলেকোঠা বা ছাদে
বীজের হার: হেক্টরপ্রতি ৫-৭ কেজি। সারের পরিমাণ ও নাম: সারের পরিমাণ/হেক্টর: গোবর ৯-১২ কেজি, খৈল ১৮০-২০০ কেজি, টিএসপি ৯০-১১০ কেজি, ছাই ১.৫-২.৫ টন।
সার প্রয়োগ পদ্ধতি: চারা গজালে ২-৩ সপ্তাহ পর পর ২ কিস্তিতে ৫০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৫০ গ্রাম এমপি সার প্রয়োগ করতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা: বীজ বপনকালে বৃষ্টি থাকতে পারে। তাই গাছের গোড়ায় পানি যেন না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
Leave a Reply