1. Aktarbd2@ichamotinews.com : ichamotinews : ichamotinews
  2. zakirhosan68@gmail.com : zakir hosan : zakir hosan
পতিত জমিতে লতিরাজ কচু চাষে হবে সবুজ বিপ্লব। - ইছামতী নিউজ
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৬:৪৫ অপরাহ্ন
আপডেট নিউজ :
বগুড়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম হালিতে বেড়েছে আট টাকা সদরের মথুরা পশ্চিমপাড়া আল মদিনা জমে মসজিদের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন কাজের উদ্বোধন শিল্পী সমিতির সদস্যপদ ফিরে পেলেন জায়েদ, বাদ হতে পারে নিপুণের আবার হিট অ্যালার্ট জারি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে গ্রাম পুলিশদের – গ্রাম আদালত বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত বগুড়ায় বন্ধুর হাতে প্রাণ গেল বন্ধু তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে করনীয় চলতি মাসেই আরেক দফা দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্প -এর আওতায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে গ্রাম পুলিশদের নিয়ে ‘গ্রাম আদালত ব্যবস্থাপনা বিষয়ক’ দিনব্যাপী ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয় পাবনা আটঘরিয়ায় জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ শুরু

পতিত জমিতে লতিরাজ কচু চাষে হবে সবুজ বিপ্লব।

Reporter Name
  • Update Time : Wednesday, 10 February, 2021
  • ৩৫১ Time View

মোঃ আরিফুল ইসলাম- মালয়েশিয়া প্রতিনিধিঃ

বাংলাদেশে কচুর বহুবিদ ব্যবহার রয়েছে, কচু শাক, কচুর ডগা, কচুর মুখি, ও লতি সবজি হিসাবে খাওয়া হয়ে থাকে। কচুতে প্রচুর পরিমান লৌহ ও ভিটামিন থাকে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের হিসাবে বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে পানিকচুর চাষ হচ্ছে, এ থেকে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টন লতি পাওয়া যায়। দিন দিন লতির চাহিদা বেড়েই চলছে। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে লতিরাজ কচু চাষ পদ্ধতি জেনে উৎপাদন বাড়িয়ে চাহিদা পুরণ করা সম্ভব।

কচুর জাত

বর্তমানে বাংলাদেশে লতিকচুর অনেক জাত থাকলেও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে নতুন জাত অবমুক্ত করা হয়েছে লতিরাজ কচু, এ লতি চাষ বেশ লাভজনক।

লতিরাজ কচুর বৈশিষ্ট

লতিরাজ কচুর লতি সবুজ, সামান্য চেপ্টা,ও লম্বায় ৯০-১০০ সেমি. হয়। এ কচুর পাতার সংযোগস্থলের ও বোঁটার রং বেগুনি। লতিরাজ কচুর জীবনকাল ১৮০-২১০ দিন। লতিরাজ কচু আমাদের দেশের সব অঞ্চলেই চাষ করা যায়।

জমি ও মাটি তৈরি

পলি দো-আঁশ ও এটেল দো-আঁশ জৈব পদার্থসমৃদ্ধ মাটি লতিরাজ কচু চাষের জন্য উপযুক্ত। বেলে মাটি রস ধরে রাখতে পারে না তাই এ ধরনের মাটি লতি চাষের জন্য ভালো নয়। উঁচু থেকে মাঝারি নিচু যোকোন জমি। বৃষ্টির পানি জমেনা এবং প্রয়োজনে সহজেই পানি ধরে রাখা যায় এমন জমি।

পানিকচু থেকে কচুর লতি পাওয়া যায়। লতি উৎপাদনের জন্য পানিকচুর জমি ভেজা ও শুকনো উভয় ভাবেই প্রস্তুত করা যায়। ভেজা জমি তৈরি করার নিয়ম হলো-ধান রোপণের জমি যেভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে সে ভাবে তৈরি করতে হয়। আর শুকনোভাবে জমি তৈরির জন্য চার থেকে পাঁচটি আড়াআড়িভাবে চাষ ও মই দিয়ে জমি প্রস্তুত করতে হয়।

লতি রোপণ সময়

আগাম লতি রোপনের জন্য কার্তিক( মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য নভেম্বর) লাগাতে হয়। আর নাবী ফসলে জন্য মধ্য ফালগুন থেকে মধ্য বৈশাখ (মার্চ- এপ্রিল) মাসে লাগানো যায়।

বংশবিস্তার

একটি পূর্ণবয়স্ক পানিকচুর গোড়া থেকে যে সকল ছোট ছোট চারা হয়ে থাকে সেগুলোকেই বীজ হিসেবে জমিতে লাগানে হয়।

চারা রোপণ পদ্ধতি

পানি কচুর চারার বয়স কম হতে হয়। চারা চার থেকে ছয় পাতার হলে সবল ও সতেজ গুলো রোপণের জন্য নির্বাচন করতে হয়। জমিতে চারা রোপণের সময় উপরের দিকের দুই থেকে তিনটি পাতা রোখে বাকি পাতা গুলো ছাঁটাই করে দিতে হবে।

কোন চারা যদি গোড়ার দিকে বেশি লম্বা হয় তাহলে কিছু শিকড়সহ গোড়ার অংশবিশেষ ছাঁটাই করে দিতে হয়। কচুর সারি থেকে সারির দুরত্ব হবে ৬০ সেমি. এবং গাছ থেকে গাছ ৪৫ সেমি. দুরত্বে চারা রোপণ করতে হবে। চারা রোপণের জন্য মাটির গভিরতা হবে ৫-৬ সেমি।

পরিচর্যা

মুল জমিতে চারা রোপন করতে দেরি হলে পানিকচুর চারা ভেজা মাটি ও ছায়া যুক্ত স্থানে রেখেদিতেম হবে। জমিতে চারা রোপণের সময় চারা যাতে হেলে না পড়ে সে জন্য মাটি কাদা করার সময় বেশি নরম করা যাবেনা।

গাছ কিছুটা বড় হলে গোড়ার হলুদ পাতা বা শুকিয়ে যাওয়া পাতা ছাঁটাই করে দিতে হবে। ক্ষেতে কোন প্রকার আগাছা জন্মাতে দেওয়া যাবেনা সব সময় পরিস্কার রাখতে হবে।

পানি কচুর গাছে লতি আসার সময় ক্ষেতে পানি জমতে দেওয়া যাবেনা।আবার একেবার শুকনো রাখা যাবেনা শুকনো রাখলে লতি কম বের হয় বা দৈঘ্য কম হয়।

জমিতে সার প্রয়োগ

প্রতি শতকে এমওপি ৭৫০ গ্রাম, ইউরিয়া ৬০০গ্রাম, টিএসপি ৫০০গ্রাম, গোবর ৫০কেজি করে দিয়ে জমি তৈরির শেষ চাষের সময় ছিটিয়ে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।

ইউরিয়া সার ২-৩ কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হয়। প্রথম কিস্তির সার চারা রোপণের ২০-২৫ দিনের মধ্যে প্রয়োগ করা ভালো।

সার প্রয়োগের পর হালকা সেচ দিতে হবে। জমিতে কোন সময় দস্তা ও জিংকের অভাব থাকলে জিপসাম ও জিংক সালফেট সার ব্যবহার করতে হবে। জয়পুরহাট অঞ্চলের চাষিরা প্রতিবার লতি সংগ্রহের পর ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করে থাকেন।

পানি সেচ ও নিস্কাশন

কচু একটি জলজ উদ্ভিদ হলেও দীর্ঘ সময় ধরে জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। বিষেশ করে লতি উৎপাদনের সময় জমিতে পানি ধরে রাখা উচিত নয়। জমিতে জো থাকলে লতি বেশি বের হয়।

কচুর রোগ ও ব্যবস্থাপনা

কচুর সাধারনত কোন রোগ দেখা যায় না রোগের মধ্যে কচুর পাতার মড়ক রোগ হয়ে থাকে। পাতার উপরে বাদামি থেকে বেগুনি রংয়ের গোলাকার দাগ দেখা যায়। পরবর্তীতে এ সমস্ত দাগ আকারে বড় হয়ে একত্রিত হয়ে যায় এবং পাতা ঝলসে যায়। পরে এ দাগ কচু ও কন্দে বিস্তার লাভ করে।

পরপর ৩-৪ দিন বৃষ্টি থাকলে ও উচ্চ তাপমাত্রা এবং আর্ আবহাওয়ায় এ রোগের মাত্রা বেড়ে থাকে। রোগ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে প্রতি লিটার পানিতে, ডাইথেন এম ৪৫ অথবা ২ গ্রাম রিডোমিল এম জেড-৭২ মিশিয়ে ১৫ দিন পরপর ৩-৪ বার প্রয়োগ করতে হবে। প্রয়োগের আগে ট্রিকস মিশিয়ে নিতে হয়।

ফসল সংগ্রহ

লতি রোপণের ২ মাস পর থেকে ৭ মাস বয়স পর্যন্ত লতি সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশের অনেক জেলাতেই লতিরাজ কচু চাষ করে বেকার সমস্যার সমাধান ও ভাগ্য পরিবর্তন করেছে । লতিরাজ কচু চাষ পদ্ধতি জেনে বুঝে করলে সফল হওয়া যাবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *