আমি শাহানা পারভীন। বগুড়া জেলার আদমদিঘী থানার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের মেয়ে। বাবা ছিলেন পুলিশ অফিসার। আমি পরিবারের প্রথম সন্তান এবং দুই ভাইয়ের একমাএ বোন। বাবার চাকরি সূত্রে ১৯৮৫ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি রংপুর থানা কোয়ার্টার জন্ম। ২০০১ সালে বিজ্ঞান বিভাগে এস, এস, সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হই। পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। তারপর নিজের ইচ্ছা এবং চেষ্টাতেই সব ধরনের বাধা বিপত্তি পেরিয়ে দীর্ঘ ১৩ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৩ সালে এইচ, এস, সি পাশ করি এবং ২০১৬ সালে বাউবিতে বি, এ ভর্তি হই। ইনশাআল্লাহ আগামী বছর এম, এ ভর্তি হবো। আমি পড়াশোনা করতে ভালোবাসি।
আমার ১১ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মেয়ের জন্য জামা তৈরীর জন্য সখের বশবর্তী হয়ে সেলাই শেখা হয়। তারপর থেকে নতুন নতুন ড্রেস ডিজাইন করার প্রবনতা কাজ করে সব সময়। ২০২০ সালে Women and e_commerce (উই) গ্রুপে জয়েন্ট হই। তারপর থেকে গ্রুপের সবার উদ্যোগ এবং লেখা পড়তে পড়তে নিজেও অনুপ্রাণিত হই। সখের বশে ড্রেস ডিজাইন করা থেকে এবং “উই” গ্রুপের মাধ্যমে ক্রমেই নিজের ছোট্ট একটা উদ্যোগ শুরু করি। আমার উদ্দ্যোক্তা জীবন চলছে প্রায়ই এক বছর। আলহামদুলিল্লাহ্ “উই” গ্রুপে থেকে প্রায়ই ১ লক্ষ টাকার কাছাকাছি সেল করেছি। “উই” গ্রুপের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের প্রায়ই ২৫/৩০ টি জেলায় আমার পণ্য পাঠিয়েছি। আর দেশের বাইরে থেকে ও অর্ডারের কথা হয়েছে । বতর্মান আমার উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত আছেন ৪/৫ জন অসহায়, বিধবা, নারী কর্মী।
আমার নিজ বাড়িতেই ছোট্ট একটা কারখানা রয়েছে। আমার স্বপ্ন আমার গ্রামের আরও কিছু বিধবা, অশিক্ষিত, নির্যাতিত, স্বামী পরিত্যক্তা মহিলাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা এবং তাদের হাতের কাজের পণ্য পুরো বাংলাদেশ সহ বহির্বিশ্বে পৌঁছে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কিছুটা ভূমিকা রাখতে চাই। আর এই স্বপ্ন দেখা থেকেই আমার পেজের নাম “স্বপ্নডিঙ্গা”। উই গ্রুপ আমাকে স্বপ্ন দেখা শিখিয়েছে, এখন আমি বিশ্বাস করি মানুষ চাইলেই সবকিছুই সম্ভব। অসম্ভব বলে আসলেই কিছু হয় না। শুধু প্রয়োজন চেষ্টা , বিশ্বাস। আলহামদুলিল্লাহ্ আমি খুব ভালো আছি। সঙ্গে কয়েকজন নারীকে আর্থিকভাবে স্বয়ং সম্পূর্ণ করতে পেরেছি ।
আমি যতো উদ্যোতাকে আপুকে দেখেছি তারমধ্যে শাহানা আপুকে আমার অনেক কর্মোঠ একজন মনে হয়েছেে।নিজেকে সফল উদ্যোক্তা করার জন্য মনেপ্রাণে লড়ে যাচ্ছে।তোমার জন্য মন থেকে দোয় রইলো আপু।আল্লাহ তোমার মঙ্গল করুন।