আমি মায়িশা জামান মিশেলা। ১৯৯২ এর ডিসেম্বরে আমার জন্ম।আমি আমার বাবা মার এক মাএ সন্তান। বেশি আদুরে ছিলাম। আমি বগুড়ার মেয়ে বগুড়া বউ। আমার কোন কিছু করার ইচ্ছে বা প্লান ছিলো না হুট করে ২০১৬ সালে সেপ্টেম্বর মাসে আমার বন্ধবীর ফোন আসে রাতে। আমাকে বলে শাড়ি সেল করবো কিনা। আমি না করে দেয় পরে আমার হাসবেন্ড এর সাপোটে কাজ শুরু করি প্রথমে আটটা শাড়ি সেল করে ভালো লাভ হয় তারপর থেকে আর পিছে ফিরে তাকায়নি একটার পর একটা প্রোডাক্ট আইটেম বারাইছি এখন আলহামদুলিল্লাহ আমার করমির হাতের তৈরি ড্রেস দেশের বাহিরে যাচ্ছে। তারপরেও মনে হয় জীবনে কিছুই করতে পারলাম না। আমার এ ছয় বছরের পথচলা খুব একটা সহজ ছিলোনা তা সহজ করেছে আমার হাসবেন্ড আর আমার বড়মা। আমি মনে করি নারী আন্দোলনের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় নারী সমাজের যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হলেও জেন্ডার সমতার বিষয়টি এখনও পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হতে পারেনি। এ চিত্র শুধু বাংলাদেশেই নয়, পৃথিবীর সর্বত্র দৃশ্যমান।
অথচ দেশ কিংবা সমাজের উন্নয়ন নির্ভর করে জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক অবদান ও অংশগ্রহণের ওপর। অর্থাৎ সমাজের অর্ধেক জনগোষ্ঠীর (নারী) অংশগ্রহণ ছাড়া কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে সত্য; কিন্তু তা কাক্সিক্ষত মাত্রার অনেক নিচে অবস্থান করছে। শুধু তাই নয়, নারী নির্যাতন ও বঞ্চনাও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করা সম্ভব হয়নি। দেশের নারী সমাজ এখনও নানা ধরনের পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতন-বঞ্চনার শিকার। শিল্পক্ষেত্রে নারী শ্রমিকের বঞ্চনা আলোচিত ঘটনা। যৌতুক প্রথা, বাল্যবিবাহ, ধর্মীয় কুসংস্কার, পারিবারিক জীবনে পুরুষতান্ত্রিক মনোভাবের আধিপত্য, প্রথা, মান্ধাতার আমলের মনোকাঠামো ইত্যাদি নারী অগ্রগতির পথে বড় বাধা। আমরা নারী আমরা পারি।
আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন: www.fb.me/bd.ichamotinews
Leave a Reply