আমার উদ্যোক্তা জীবন আমি মাইমুনা আক্তার রিমকি,বগুড়ার মেয়ে,বগুড়ার বউ নিজ হাতে পেইন্ট করা শাড়ি,জামা,পাঞ্জাবি,বিছানার চাদর,গায়ের চাদর ইত্যাদি নিয়ে কাজ করছি। আমার উদ্যোক্তা জীবনের আজ ১৭ মাস ।আলহামদুলিল্লাহ উই এর বদৌলতে আমি লাখোপতি আমি যখন স্কুল এ পড়তাম তখন থেকেই বার বার বান্ধবি দের সাথে প্লান করে যেতাম এবার কয়েকজন মিলে এই বিজনেস করব,অই বিজনেস করব।
কিন্তু সবার সময়,বা ডিসিশন একসাথে মিল না হওয়ায় আসলে হয়ে ওঠে নি। কিন্তু কোনো কিছু তে জড়ানোর চিন্তা যে আমার স্কুল জীবনী থেকেই তা আর বলার অপেক্ষা থাকে না। এছাডাও আমার চোখ আর হাত(কাজে) বেশ ভাল,সবাই বলত। একটু বলি এই বিষয়ে: আমার জন্মের পর থেকেই দেখে আসছি আমার দাদি আর্ট/পেইন্ট এর অর্ডার এর কাজ করতেন।আমার বাবার হাত ও অনেক ভাল এই বিষয়ে। শুনেছি আমার দাদা একজন আর্টিস ছিলেন।তার মুক্তি যুদ্ধ কালিন আকানো ছবি, লিখা লিখি ও দেখেছি আমি। আলহামদুলিল্লাহ, তাহলে সেক্ষেত্রে আমি বলতেই পারি যে আমার জীন এ মিশে আছে আর্ট। আলহামদুলিল্লাহ আমার শেখা: সত্যি বলতে আমি আমার জীবনে কখনো আকা আকি হাতে কলমে শিখি নি কোনো প্রতিসঠান এ।
তবে হ্যা,আমি একটি পরিচিত কোচিং এ পড়তাম ক্লাস ফোর এ। তখন একজন আর্ট টিচার এসে এক মাস আমাকে আকা আকি শিখিয়েছিলেন ৪/৫ টা ক্লাস নিয়ে তাহলে বলবেন কিভাবে শিখলাম আমি? অইত উপরে বললাম আমার হাত এবং চোখ। মানে চোখ এ কিছু দেখে হাতে ট্রাই করতাম। সেটা হাতের কাজ,বা আকা আকি যেকোনো কিছু।।কখনো হতাশ হই নি আলহামদুলিল্লাহ। তবে হ্যা আমি বরাবর এর মতই মানুষ আকাতে পারি না,চেস্টা ও করিনা এবার আসি আগে যেহেতু কখনো কাপড় এ আর্ট করি নি তাহলে এইটা কিভাবে? অইতো বলব এইটাও আমি কারো কাছে হাতে শিখি নি। নেট জগতের সাহায্য মাত্র অনলসিন এ বিভিন্ন আর্টিসদের ফলো,তাদের গুরুজন মেনেই ভিডিও দেখে শেখা ক্লাস হিসেবে।
করোনার আগ থেকেই বেশ কিছু দিন যাবত কিছু করার চিন্তা করে যাচ্ছিলাম। তার মধ্য আস্তে আস্তে বিভিন্ন গ্রুপ এ এড হইতে থাকলাম।এর মধ্যে হুট করে উই এর সন্ধান মিল্লো ২০২০ সালের জুলাই এর ১২ তারিখ। পোস্ট পড়া,গঠন মূলক কমেন্ট করার অভ্যাস করতে থাকলাম। এর মধ্যে করোনা কালীন সময়ে কিছু দিন বাসায় খাবার বানানোতে ঝোক উঠেছিল। একবার ভাবলাম খাবার এর বিজনেস। কিন্তু অনেকরেই দেখলাম খাবার জগতে আমার থেকেও আগের এবং বেশ পটু। তাই আমি ডিসিশন চেঞ্জ করে আসে পাশে দেখলাম আমার চেনা জানা তে এমন কেও নাই যে হ্যান্ড পেইন্টেড চাদর,শাড়ি,কুরতি নিয়ে কাজ করছে।
তাই আমি রাতারাতি ডিসিশন নিয়ে ফেললাম যে এইটাই করে ফেলি। যেহেতু খাবার বানানোর আগে থেকেই এই বিষয়ে আমার আগ্রহ। ফ্যামিলি ট্রেডিশন টাও হাল্কা ধরে রাখি আর উই এর কমেন্ট, পোস্ট এর মাধ্যমে তো মাইন্ড সেট আপ হচ্ছিলোই যে কিছু করব। পরে ২০২০ এর সেপ্টেম্বর এর শুরুতে Rimki’s Door নামক পেইজ খুলে শুরু আমার হ্যান্ড পেইন্ট নিয়ে কাজ। আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো চলছে আমার উদ্যোক্তা জীবন। সবার এত্ত এত্ত ভালোবাসা আলহামদুলিল্লাহ অচেনা, অন্য জেলার কাস্টমার দের পসিটিভ রিভিউ গুলো যেন আরো মন কে শক্ত করছে দিন দিন। আলহামদুলিল্লাহ সব কিছ্য্র জন্য লাস্টলি একটা কথাই বলি,ট্রেন্ড ফলো না করে, আপনার মাঝে লুকিয়ে থাকা দক্ষতা কে প্রকাশ করে আপনিও আপনার উদ্যোক্তা জীবন শুরু করুন। সততা এবং সৎ সাহস নিয়ে এগিয়ে চলুন সফলতা সুনিশ্চিত।
আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন: www.fb.me/bd.ichamotinews
মাশাল্লাহ আপু তোমার এ সফলতার গল্প জেনে অনেক ভালো লাগলো।আশাকরি আরো এগিয়ে যাবে সফলতর সাথে।দোয় ও শুভকামনা রইলো