আমি কোহিনুর, স্বামীর বাসা বগুড়া শহরের কাটনার পারায়। আমার পরাশুনা ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত, নবম শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকেই নিজের পোশাক নিজের হাতেই করতাম। আমি সেই থেকে সুই সুতো দিয়ে কাথা, বেডশিট, সহ বিভিন্ন কাজে পারদর্শী হয়ে তখন থেকে স্বপ্ন ছিল নিজে কিছু করার। প্রশিক্ষণ নিলাম মহিলা অধিদপ্তর ৩ নং ওয়ার্ড, পানির টাংকি তে। সেখান থেকে আমাকে দেওয়া হল একটা সেলাই মেশিন এবং ২৭০০ টাকা। তখন থেকে শুরু করলাম স্বপ্নের উদ্যোগ। আমার ঠিকানা, বগুড়া, কাহালু, মহেশপুর, পিতা, আনিছুর কাজি,তার পড়, বগুড়া কাটনার পাড়া মোঃ সাহিদ হোসেনের সাথে বিবাহ বন্ধন, দাম্পত্য জীবন। আমার স্বামীর সাপোর্টে, বগুড়া ওয়াল ভিশন, এবং নারী পূর্ণবাসন থেকে, বেশ কয়েকবার প্রশিক্ষণ দেওয়ার পড়ে। ১৮ বছর সংসার জীবন, অনেক সময় বাসায় একা থাকতাম, ইচ্ছে ছিল অনেক আগে থেকে কিছু করবার। করোনা কালিন সময়ে স্বামীর ব্যবসা বন্ধ থাকায়, সংসার নিয়ে বেশ টেনশনে পরি আমি।
এমন সময় চিন্তা করি নিজে কিছু করবার, ঠিক তখন থেকে, জামার হাতের কাজ থেকে পথ শুরু করি এবং একটি ফেসবুক পেজ খুলি Nurjahan fashion নামে, পেজটির ফলোয়ার এখন ৩০ হাজারের উপরে এবং ৩০০০ হাজার টাকা পুজি নিয়ে শহরের পাইকারী মার্কেট থেকে বাটিক জামা ক্রয় করে ব্যাবসা শুরু করি। প্রায় এক বছরের মধ্যে ইন্শাআল্লাহ সকলের দোয়া ও ভালো বাসায় আর পিছনে ফিরতে হয়নি আমার। সংসারে পাশাপাশি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। দুই হাজার টাকা পুজি, এখন টাকা থেকে শুধু মাএ বাটিক জামা বিক্রি করে, ১ লক্ষ টাকা পুজি দার করিয়েছি। আত্মনির্ভরশীল হওয়ার ভাবনা শুরু করে ২০০৭ নিজের অর্জিত টাকা দিয়ে কাপড় কিনে শুরু করে, বাটিক এবং হাতের কারচুপির নকশা কাজ, পরবর্তীতে যখন ক্রেতাদের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছিল, তখন দুই জন কর্মী নেই এবং শুরু করি বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক এবং বাটিকের কাজ। ইন্শাআল্লাহ তার পর থেকে আর পিছু পড়তে হয়নি আমাকে।
নিজের প্রতিষ্ঠান পরিচালনার পাশাপাশি, অন্য নারীদের নিয়ে ব্লক বাটিক হ্যান্ড পেইন্ট, বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশ নেই আমি এবং আমার স্বামীর সহযোগিতায়, Bogra market place E-commerce platform, বেশ কিছু নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে, বগুড়া স্বনামধন্য মম ইন ইকো পার্কে সাত দিনব্যাপী,প্রায় ৩০ টি স্টল নিয়ে উদ্যোক্তা মেলা পরিচালনা করা হয়। এখন সে অর্ধলক্ষাধিক মেম্বার, ৭০ জন উদ্যোক্তাদের নিয়ে, Bogra market place E-commerce platform, গ্রুপ, ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম এডমিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে আমার স্বামী।
আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন: www.fb.me/bd.ichamotinews
Leave a Reply