1. Aktarbd2@ichamotinews.com : ichamotinews : ichamotinews
  2. zakirhosan68@gmail.com : zakir hosan : zakir hosan
ছাগল পালনে উদ্যোগ নিয়েছে চরাঞ্চলের নারীরা - ইছামতী নিউজ
বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ০২:৩২ অপরাহ্ন
আপডেট নিউজ :
বগুড়ায় পেশা পরিবর্তন করে শরবত বিক্রিতে ঝুঁকছেন অনেকে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপনে আটঘরিয়ায় আফতাব হোসেন শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত ধানের হিটশক বা হিট ইনজুরি প্রতিরোধে করণীয় দুর্নীতির জন্য সড়কের পিচ গলছে, তাপমাত্রার জন্য নয় অশ্লীল ছবির সঙ্গে নারীদের ছবি লাগিয়ে ফেসবুকে প্রতারণা- গ্রেপ্তার ৪ বগুড়ায় প্রতিবন্ধী ধর্ষণ মামলার আসামী গ্রেফতার বগুড়া রামশহরে দোকানঘর সহ বাড়ীঘর পুড়ে ছাই বগুড়া শিবগঞ্জের মহাস্থান মাঠে রায়নগর ইউনিয়ন বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত যুব মহিলা লীগ সদরের সভাপতি আরাফাত জাহান যুঁথীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে বগুড়ায় তৃষ্ণার্ত মানুষে  হাতে সরবত বগুড়ায় ৩৫ বছর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড

ছাগল পালনে উদ্যোগ নিয়েছে চরাঞ্চলের নারীরা

নিউজ ডেস্ক | ইছামতী নিউজ
  • Update Time : Tuesday, 4 April, 2023
  • ১৫৬ Time View

বর্তমানে দেশের অনেক নদী পানিশুণ্য হয়ে গেসে। ধীরে ধীরে দেশি মাছও হারিয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে চরাঞ্চলে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ছাগল পালন। চরে বসবাসরত নারীরা ছাগল পালনে আগ্রহী হচ্ছেন। পাশাপাশি এই পশু পালনে অনেকে স্বাবলম্বীও হয়েছেন। কুড়িগ্রামে নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের নারীরা ছাগল পালনে ঝুঁকছেন।
কুড়িগ্রাম জেলায় ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমরসহ ছোট বড় মোট ১৬টি নদ-নদী রয়েছে। এইসব নদীর তীরে প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। এতে চরের কৃষক ও তাদের পরিবারের জীবন যাত্রার মান পরিবর্তন হয়েছে। চরে বসবাসরত অধিকাংশ চাষিরা সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতায় চাষাবাদ ও ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
থেতরাই ইউনিয়নের তিস্তার চরের গৃহবধূ মাজেদা বেগম বলেন, আমি ৪ বছর আগে স্থানীয় একটি উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় ৪ হাজার টাকায় একটি ছাগল কিনে পালন শুরু করি। বর্তমানে আমার ১২ টি ছাগল রয়েছে। ছাগল বছরে ৩ বার বাচ্চা প্রসব করে। প্রতিবারেই ২-৪ টি বাচ্চা দিয়ে থাকে। চরে জেগে উঠা ঘাস খেয়েই ছাগল বেড়ে উঠে। অতিরিক্ত খরচের প্রয়োজন পড়ে না। আর এর লালন পালন খুবই সহজ।

জোসনা বেগম বলেন, আমরা ছাগল পালনের প্রশিক্ষণ নিয়ে বাঁশ দিয়ে উঁচু জায়গা করে সেখানে পালন করছি। চরের ঘাস ও ছাগলের রোগের জন্য সময় মতো চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। কারণ একটি ছাগল বছরে ৩ বার ও প্রতিবারে ৩-৪ টি করে বাচ্চা দিয়ে থাকে। ভালো যত্ন নিয়ে চাষ করলে ছাগল পালনে লাভবান হওয়া যায়।

একই চরের শেরিনা বেগমের স্বামী আজাদুর রহমান বলেন, আগে আমরা যখন ছাগল পালন করতাম তখন বন্যার সময় বিভিন্ন রোগের কারণে ছাগল আক্রান্ত হয়ে মারা যেত। তবে এখন আমরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বাঁশের তৈরি করে সেখানে ছাগল পালন করছি। এগুলো পালনেই আমাদের সংসার চলে। বর্তমানে আমাদের ৬টি ছাগল, ৮টি ভেড়া ও ৬টি গরু রয়েছে।

বর্তমানে তারা ছাগলসহ অন্যান্য গৃহপালিত পশু পালনে সফল হয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন। চর এলাকার অধিকাংশ মানুষ আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল হওয়ায় তারা অন্যের জমিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে সংসার চালাতেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন, চরাঞ্চল ছাড়া বাকি চাষিরা বিভিন্ন ধরনের সবজি ও ফসলের উৎপাদন করে জেলার চাহিদা পূরণ করেন। এতে চরের চাষিদের সরকারি ও বেসরাকরী ভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। এছাড়াও পশু পালনে বিভিন্ন পরামর্শ ও চিকিৎসার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আর চরের চাষিরা চাষাবাদ কম করতে পারলেও তারা জেলায় দুধ ও মাংসের চাহিদা পূরণ করছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *