1. Aktarbd2@ichamotinews.com : ichamotinews : ichamotinews
  2. zakirhosan68@gmail.com : zakir hosan : zakir hosan
মৌলভীবাজারের ‘করলা গ্রামে’ কৃষকের মুখে হাসি - ইছামতী নিউজ
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৫:৩৫ অপরাহ্ন

মৌলভীবাজারের ‘করলা গ্রামে’ কৃষকের মুখে হাসি

শাহেদ আহমদ | স্টাফ রিপোর্টার | সিলেট
  • Update Time : Sunday, 2 April, 2023
  • ১৮১ Time View

করলা চাষে ভালো ফলন হওয়ায় পাল্টে গেছে গ্রামের নাম। নতুন নামকরণ হয়েছে ‘করলা গ্রাম’। কারো কাছে আবার সবজী গ্রাম নামেও পরিচিত। তবে যে নামেই ডাকুন না কেন গ্রামের আদি নাম পাড়েরটং। এটি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের একটি গ্রাম।

পারেরটং গ্রামের বিশাল এলাকা জুড়ে শুধুই সবুজ আর সবুজ। সবুজের এমন সমারোহে যে কেউ বিমোহিত হয়ে যাবে। পারেরটং গ্রামের এই করলা চাষ যেন নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছেন কৃষকরা। নিজের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিদিন তা বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন তারা। করলার ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় শত শত কৃষক পরিবারের মুখে ফুটেছে হাসি।
রবিবার (২রা এপ্রিল) বিকেলে সরেজমিন দেখা যায়, পারেরটং গ্রাম থেকে শত শত মণ করলা ট্রাকে ও টেম্পোতে করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁওসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছে। পাইকাররা প্রতিদিন কয়েক শত মণ করলা ক্রয় করে নিয়ে যান দেশের বিভিন্ন স্থানে।

স্থানীয়রা জানান, আমাদের গ্রামের নাম পারেরটং বললে হঠাৎ কেউ চিনবে না। বর্তমানে করলা গ্রাম বললে সবাই চেনে। তার কারণ পুরোগ্রামে করলা চাষ হচ্ছে। ফলন ভালো হওয়া এবং কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় সবাই করলা চাষ করছেন। তেমনি এলাকার অনেক নারী পুরুষ দিনমজুর হিসেবেও করলা বাগানে কাজ করে লাভবান হচ্ছেন।

পারেরটং গ্রামের কৃষক হারুন মিয়া জানান, তিনি ৯০ শতক জমিতে এবার করলা চাষ করেছেন। এরই মধ্যে ৩ লাখ টাকার করলা বিক্রি করেছেন। আরও ২ লাখ টাকার অধিক করলা বিক্রি করতে পারবেন। এই ৯০ শতক জায়গায় করলা চাষ করতে খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকা।

তিনি জানান, পাইকাররা এসে জমি থেকেই করলা কিনে নিয়ে যান। বাজারে নিতে হয় না। গত বছর করলা চাষ করে ৬০ হাজার টাকার মতো লস খেয়েছিলাম। কারণ বীজগুলো ভালো ছিল না। বর্তমানে লালতীরের হাইব্রিড ‘টিয়া জাতের’ করলার বীজগুলো আমরা ব্যবহার করেছি। এ জাতের বীজ একর প্রতি ফলন হয় ১২ থেকে ১৩ টন। রোপণের ৪২ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ফসল সংগ্রহ শুরু হয়। পরিশ্রম কম, লাভও ভালো হয়।

কৃষি অফিসের সহযোগিতার বিষয়ে হারুন মিয়া বলেন, এ বছর কৃষি অফিস থেকে ৮ হাজার টাকা পেয়েছি। ওষুধ কেনার জন্য এই টাকা দিয়েছে। সেই টাকা দিয়ে সার ও ওষুধ কিনে জমিতে ব্যবহার করেছি। কৃষি অফিস সবসময় আমাদের জমিতে এসে ভালো পরামর্শ দিয়ে থাকেন ও সার্বক্ষণিক নজর রাখেন।

গ্রামের গৃহবধূ আমেনা বেগম বলেন, আমার নিজের জমি নাই। আমি প্রতিদিন অন্যের খেতে কাজ করে ৩০০ থেকে ৪০০টাকা মজুরি পাই।

এদিকে পারেরটং গ্রামের শাহ আলম, নূরু, শফিক, নাজমুল, মাসুক, আ. রাজ্জাক ও ইমাম মিয়া জানান, গত বছর আমাদের অনেক লস হয়েছে এ বছর আমাদের ভালো আয় হয়েছে। করলা বাগানে যা আছে তা বিক্রি করতে পারলে আরও লাভ হবে।
শ্রীমঙ্গল লালতীর সিড লিমিটেডের ডিভিশনাল ম্যানেজার তাপস চক্রবর্তী জানান, এটি একটি ভালো হাইব্রিড জাত। উচ্চতা ও লবণাক্ততা সহিষ্ণু জাত। তীব্র শীত ছাড়াও সারা বছর চাষযোগ্য। এই সবজিটি আকর্ষণীয় সবুজ রঙের ও মধ্যম খাঁজযুক্ত। এটা মাঝারি ধরনের তিতা নরম ও সুস্বাদু। প্রতিটি ফল ২৮ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং ওজন ২৫০ থেকে ২৮০ গ্রাম। এ জাতে একর প্রতি ফলন হয় ১২ থেকে ১৩ টন। রোপণের ৪২ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ফসল সংগ্রহ শুরু হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে আমাদের বীজ সবাই নিচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সব সময় কৃষকদের নানান পরামর্শ দেওয়া হয় জানিয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন বলেন, চলতি মৌসুমে করলা

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *