বগুড়ায় বিএনপির পদযাত্রায় সংঘর্ষ চলাকালীন পুলিশের ছোড়া টিয়ারগ্যাসের ধোঁয়ায় অসুস্থ তিন শিক্ষার্থীকে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা শ্বাসকষ্ট ও স্নায়ুচাপে ভুগছে। ঘটনার দুদিন পর বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) তাদের সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তারা হলো ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সাবিরাতুজ জাহান (১৩), জান্নাতুল মোহনা (১৩) ও মোছা. নাবিয়া (১৪)। সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা ডা. শফিক আমিন কাজল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
তিনি জানান, বেলা ১১টার দিকে দুই শিক্ষার্থী রিতু ও মোহনা হাসপাতালে ভর্তি হয়। এর ঘণ্টাখানেক পরেই তাদের আরেক সহপাঠী নাবিয়াকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের অক্সিজেন দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ডা. শফিক আমিন বলেন, টিয়ারগ্যাসের ধোঁয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের মতো অপ্রত্যাশিত ঘটনায় তারা মানসিকভাবে চাপে রয়েছে। তাদের শারীরিক অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে।
খবর পেয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুর রশিদ ও পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) মোতাহার হোসেন হাসপাতালে আসেন। তারা শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত সব বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
অসুস্থ শিক্ষার্থী নাবিয়ার বাবা মো. নুরুন্নবী বলেন, ‘ঘটনার দিনে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মেয়েকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। হঠাৎ করেই বুধবার রাতে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। মেয়ে প্রচণ্ড ভয় পাচ্ছে।’
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) এক দফা দাবিতে বিএনপির পদযাত্রা শহরের সাতমাথা প্রবেশ করতে চাইলে ইয়াকুবিয়া মোড়ে পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপ করে। এসময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ছোড়ে পুলিশ। টিয়ারগ্যাসের ধোঁয়ায় ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৭ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের সরকারি মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়।
Leave a Reply