আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রবেশপথে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৮ জন নিহত হয়েছে। এ হামলায় আরো অন্তত ৫৭ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল ২৪ অক্টোবর, শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর শিয়া অধ্যুষিত দাস্ত-এ-বারচি এলাকায় অবস্থিত একটি বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলাটি চালায় জঙ্গিরা।
আফগান তালেবান ঘটনার পর হামলার দায় অস্বীকার করে। পরে রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া বিবৃতিতে এ হামলার দায় স্বীকার করে ইসলামি স্টেট (আইএস)।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, কাবুলের শিয়া অধ্যুষিত ওই এলাকার আবাসিক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে শত শত শিক্ষার্থী লেখাপড়া করেন।
আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তারিক আরিয়ান বলেন, ‘শরীরে বিস্ফোরক নিয়ে হামলাকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পথেই তাকে বাধা দেওয়া হলে সে বিস্ফোরণ ঘটায়।’
এতে হতাহতের ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর অবস্থায় বহু মানুষকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক। ফলে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এর একদিন আগেই কাবুলে আরেক বোমা হামলায় ৯ জনের প্রাণহানি ঘটে। ওই হামলার জন্য সরকার তালেবানদের দোষারোপ করলেও তারা এর দায় অস্বীকার করেছে। ওই হামলার দায় স্বীকার করেনি আইএস’ও।
এর আগে বৃহস্পতিবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় তাকার প্রদেশের রাজধানী তালুকান শহরের কাছে একটি মাদ্রাসায় বিমান হামলা চালায় সরকারি বাহিনী। এতে ১২ শিক্ষার্থী নিহত ও ২৪ জন আহত হয়।
নিহতরা তালেবান যোদ্ধা বলে সরকারের দাবি। ওই প্রদেশে তালেবান হামলায় আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর ৩০ জনের বেশি সদস্য নিহত হওয়ার পরপরই ওই বিমান হামলা চালায় সরকার।
এর আগে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে কাবুলের একটি টিউশন কেন্দ্রে আইএস জঙ্গিদের হামলায় ৪৮ জন নিহত হয়।
Leave a Reply